‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত হলেন হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে–খ্যাত নারায়ণ দেবনাথ। এর পাশাপাশি ভারত সরকারের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই সম্মান পেলেন পশ্চিমবঙ্গের ছয়জন বাঙালি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁতশিল্পী বীরেনকুমার বসাক, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মৌমা দাসও।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে প্রতি বছর পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকা প্রকাশ করে ভারত সরকার। এবারও তার অন্যথা হল না। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে ২০২১–এর পদ্ম সম্মান প্রাপকের তালিকা। এ বছর পদ্মবিভূষণ প্রাপকের সংখ্যা ৭। ১০ জন পাচ্ছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার। পদ্মশ্রী প্রাপক ১০২ জন। এবার পদ্মবিভূষণ বা পদ্মভূষণ পুরস্কার বাংলার ঝুলিতে না এলেও পদ্মশ্রী–তে ভূষিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের সাত বাঙালি।
শিল্পজগতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রবীণ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ ও শান্তিপুরের তাঁতশিল্পী বীরেনকুমার বসাককে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিচ্ছে ভারত সরকার। খেলাধুলো বিভাগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘পদ্মশ্রী’–তে ভূষিত হলেন অর্জুন পুরস্কার জয়ী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মৌমা দাস। এবং সামাজিক কাজে নিজের ছাপ ফেলে ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন সাঁওতাল সমাজের গুরুমা কমলি সোরেন।
সাহিত্য ও শিক্ষায় ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায় ও জগদীশচন্দ্র হালদার। কামতাপুরী ভাষার প্রসারে বিশেষ অবদান রেখে কামতারত্ন হিসেবে পরিচিত হয়েছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অশীতিপর শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘সদাই ফকিরের পাঠাশালা’র জন্য পরিচিত। বছরে দু’টাকা দক্ষিণায় ৩০০–রও বেশি পড়ুয়াকে পড়ান তিনি।
এ বছর এনআরই তথা বিদেশি বিভাগে পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন ১০ জন। তাঁদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশের বাসিন্দা তথা বাঙালি। পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগে কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জাহির ও শিল্পজগতে অসামান্য অবদানের জন্য সানজিদা খাতুন পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার।
এদিকে, এদিন টুইট করে ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপক নারায়ণ দেবনাথ, বীরেনকুমার বসাক, মৌমা দাস, ধর্মনারায়ণ বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, জগদীশচন্দ্র হালদার ও গুরুমা কমলি সোরেনকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।