তৃষা সেনগুপ্ত
মহাকুম্ভ ২০২৫। দেশ বিদেশ থেকে এসেছেন প্রচুর ভক্ত। সেই সঙ্গেই মহাকুম্ভে দেখা মিলেছে নানা ধরনের সাধু সন্ন্যাসীর। কেউ আইআইটি পাশ করে এসেছেন আধ্য়াত্মিক দুনিয়ায়। সব ছেড়ে পরেছেন গেরুয়া বসন।
কেউ আবার মাসকিউলার বাবা। পেশিবহুল বাবা। একেবারে হ্যান্ডসাম চেহারা। এককথায় সুপুরুষ। কুম্ভতে এসেছিলেন তিনিও।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ বিশ্বজুড়ে ভক্তরা আসছেন। বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশে ভারতীয়, বিদেশী ভক্ত, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাধুরা উপস্থিত থাকেন। তাদের মধ্যে রাশিয়ার ‘পেশীবহুল বাবা’ রয়েছেন। মহাকুম্ভে এত সাধু সন্তদের মধ্য়ে নজর কেড়েছেন তিনি।
সাধারণ গেরুয়া রঙের পোশাক পরিহিত, পাশে একটি বড় ঝোলা এবং গলায় রুদ্রাক্ষমালা পরিহিত, এই সাধুকে দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তার ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করেছেন, যা ভাইরাল হয়ে গেছে।
তাঁকে অনেকে পরশুরামের অবতার বলে উল্লেখ করছেন। সুন্দর পেশিবহুল চেহারা তাঁর। কোথায় থাকেন তিনি? কোথা থেকে এসেছেন তিনি? ইতিমধ্য়েই ভক্তদের মধ্য়ে তাঁর উপস্থিতি বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চাও চলছে পুরোদমে। মূলত তাঁর পেশিবহুল চেহারা দেখে হতবাক অনেকে।
'আধুনিক যুগের পরশুরাম'
সাত ফুট লম্বা আত্মা প্রেম গিরি মহারাজ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি উন্মাদনা তৈরি করেছেন, অনেকে তাকে পরশুরামের অবতার বলে অভিহিত করেছেন। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, পরশুরাম হলেন ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। কথিত আছে, তাঁর জন্মের পেছনে মূল কারণ ছিল পৃথিবীর বোঝা কমাতে পাপী ও নির্মম রাজাদের নির্মূল করা।
তাঁর জন্মবার্ষিকী, পরশুরাম জয়ন্তী, বৈশাখ মাসে শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয়, যা সাধারণত মে মাসে পড়ে।
'মাস্কুলার বাবা'
মানিকন্ট্রোল হিন্দি অনুসারে, বাবা, ‘পেশীবহুল বাবা’ বলে পরিচিত, একজন সাত ফুট লম্বা কুস্তিগীর। তিনি প্রায় ত্রিশ বছর আগে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে শিখেছিলেন এবং তখন থেকেই ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
রাশিয়া থেকে হলেও বর্তমানে তিনি নেপালে বসবাস করছেন। শিক্ষকতা পেশাকে পেছনে ফেলে তিনি হিন্দু ধর্ম প্রচারকে তাঁর জীবনের লক্ষ্য বানিয়েছিলেন। তিনি পাইলট বাবার প্রাক্তন শিষ্য এবং জুনা আখাড়ার সদস্য।
মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫ ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছে এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ভক্তরা গঙ্গা, যমুনার পবিত্র সঙ্গম এবং পৌরাণিক সরস্বতীতে ডুব দিয়ে আধ্যাত্মিক শুদ্ধির জন্য এই সমাবেশে যান।