গুজরাটের নাদিয়াদে নিজের মেয়ের একটি অশ্লীল ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ানকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতারর করল পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েথে, বিএসএফ কর্মী মেলজিভাই ভাঘেলা নিজের মেয়ের অশ্লীল ভিডিয়োর প্রতিবাদ করতে ১৫ বছর বয়সি এক যুবকের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই ছেলেটাই অনলাইনে সেই ভিডিয়োটা পোস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। সেখানেই বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং কিশোরের পরিবারের সদস্যরা ভাঘেলার ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ভাঘেলার।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার ভিআর বাজপেয়ী নিশ্চিত করেছেন যে ঘটনায় সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভাইরাল ভিডিয়োর মেয়ে এবং অভিযুক্ত কিশোর একই স্কুলে পড়ে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে ভাঘেলা, তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক ভাগ্নে চাকলাসি গ্রামে কিশোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিবার ভিডিয়োটির প্রতিবাদ করলে কিশোরের আত্মীয়রা ভাঘেলাদের উলটে গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় বিএসএফ সদস্য আপত্তি জানান। তখন ভাঘেলা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করা হয়েছিল।
এদিকে সীমান্ত বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে যে ভাঘেলা বিএসএফের ৫৬তম ব্যাটালিয়নে হেড কনস্টেবল ছিলেন। তিনি ঘটনার সময় ছুটিতে ছিলেন। ঘটনার পরপরই বিএসএফ-এর তরফে গুজরাট পুলিশ এবং ভাঘেলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিএসএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ একযোগে কাজ করছে এবং সত্যকে সামনে আনা হবে। নিহত বিএসএফ জওয়ান ও তাঁর পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। বিএসএফ মৃত জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছে এবং অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা এবং যথাযথ চিকিৎসাসহ তাদের মুক্তিসহ সব ধরনের সাহায্য করছে।'