পেগাসাস কাণ্ডে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের। এই তদন্ত কমিটি তৈরি করা প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, পেগাসাস অভিযোগ নিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দিকটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আদালত সাফ জানায়, সবসময় 'জাতীয় নিরাপত্তা' যুক্তি দিয়ে কেন্দ্র ছাড় পেতে পারে না। দেখুন কোন সাত কারণে পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত -
সবসময় 'জাতীয় নিরাপত্তা' যুক্তি হতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'এর মানে এই নয় যে যতবারই 'জাতীয় নিরাপত্তার' কথা উঠবে, ততবারই রাষ্ট্র ফ্রি পাস পাবে।'
গোপনীয়তা শুধু সাংবাদিক, সমাজ কর্মীদের উদ্বেগের কারণ নয়: সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'একটি সুসভ্য গণতান্ত্রিক সমাজের সদস্যরা গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারে, সেটাই যুক্তিযুক্ত। গোপনীয়তা শুধুমাত্র সাংবাদিক বা সামাজিক কর্মীর একার প্রশ্ন নয়।'
গোপনীয়তার বিধিনিষেধ সাংবিধানিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে: সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলি প্রমাণ ভিত্তিক হওয়া উচিত। আইনের শাসন দ্বারা পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক দেশে, সংবিধানের অধীনে আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনও কিছু করা যায়। নির্বিচারে গুপ্তচরবৃত্তির অনুমতি দেওয়া যায় না।'
নজরদারি প্রেসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট বলে, 'এটি বিশেষ উদ্বেগের বিষয়। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। বাকস্বাধীনতার উপর এই ধরনের নজরদারি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। প্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর একটি আক্রমণ এটা। সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে প্রেসের ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করতে পারে এটা।'
ভারত সরকার কোনও পরিষ্কার অবস্থান নেয়নি: কেন্দ্রের সীমিত হলফনামায় অভিযোগের দায়স্বীকারের বিষয়টি অস্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে মামলাকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে আদালত তদন্তের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়নি: কেন্দ্র মামলাকারীদের পেগাসাস সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ অস্বীকার করেনি। ভারত সরকারের দ্বারা দাখিল করা সীমিত হলফনামাতে 'অস্পষ্টভাবে' অস্বীকার করা হয়েছে অভিযোগগুলি, যা যথেষ্ট হতে পারে না।
বিদেশি সংস্থা ভারতীয় নাগরিকদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকতে পারে: কোনও বিদেশি কর্তৃপক্ষ, সংস্থা বা প্রাইভেট সংস্থার জড়িত থাকার সম্ভাবনা। তাছাড়া নাগরিকদের উপর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশ্নটিও বিচারবিভাগীয় বিষয়। সেটি বিতর্কিত এবং এর তথ্য ফের পরীক্ষা করা প্রয়োজন।