বন্ধুর বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে এসে অন্ধ্র প্রদেশের পেন্না নদীতে ডুবে মৃত্যু হল সাত কিশোরের। বৃহস্পতিবার বিকেলের দুর্ঘটনার পরে রাতে দুই জন এবং শুক্রবার সকালে আরও দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলেছে তল্লাশি।
সিদ্ধবটম শহরের পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ বাবু হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানিয়েছেন, ‘আমাদের সন্দেহ, বাকি তিনটি দেহ নদীর গভীরে থাকা বালিতে আটকে গিয়েছে। মৃতদের বয়স ১৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে।’
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত সোমশেখর, যশবন্ত, জগদীশ, সতীশ, রাজেশ, চেন্নু ও তরুণ তিরুপতির বাসিন্দা। বন্ধু ইরুভারি শিবকুমারের বাবা ইরুভারি রামচন্দ্রাইয়ার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে অংশগ্রহণ করতে তারা সিদ্ধবটম শহরে এসেছিল।
অনুষ্ঠান শেষ হলে বন্ধুরা সকলে পেন্না নদীতে স্নান করতে যায়। কিছু ক্ষণ পরে শিবকুমার তীরে উঠে এলেও বাকি সাত জন নদীর গভীরতম অংশে সাঁতার কাটতে যায়। নদীর গভীরতা বুঝতে না পেরে এবং প্রবল স্রোতের আন্দাজ না পেয়েই তারা নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে মনে করা হচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে তীব্র গতির স্রোত সাত কিশোরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
শিবকুমার ও তীরে উপস্থিত অনেকে পুলিশকে বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। নদীতে নামানো হয় দক্ষ সাঁতারুদের। রাত ৯টা নাগাদ উদ্ধার হয় সোমশেখর ও রাজেশের দেহ। পরের দিন সকালে আরও দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।