একেবারে হাড়হিম করা দুর্ঘটনা। পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে একের পর এক লাফ যাত্রীদের। উলটো দিক থেকে আসছিল কর্ণাটক এক্সপ্রেস। পাশের লাইনে। সেই ট্রেনের ধাক্কায় একাধিকজনের।
কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা?
লখনউ থেকে মুম্বইয়ের দিকে যাচ্ছিল এই পুষ্পক এক্সপ্রেস। একজন রেলযাত্রী ট্রেনের চেন টানেন। এরপর একে একে যাত্রীরা লাফ দিতে শুরু করেন ট্রেন থেকে। কিন্তু সেই সময় অপর দিক থেকে ছুটে আসছে কর্ণাটক এক্সপ্রেস। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল সেই ট্রেন। সেই ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল একাধিক ব্যক্তির। অন্তত ১১জনের।
কীসের আতঙ্কে লাফ?
সূত্রের খবর, হট অ্য়াক্সেল বা ব্রেক বাইন্ডিং থেকে সম্ভবত আগুনের ফুলকি উঠছিল। এতেই ভয় পেয়ে যান কয়েকজন যাত্রী। তারাই চেন টানেন। এরপর লাফ। কিন্তু অপর লাইনে তখন কর্ণাটক এক্সপ্রেস। এক রেল অফিসার জানিয়েছেন পিটিআইকে।
পুষ্পক এক্সপ্রেস থেমে গিয়েছিল। কিন্তু সমস্যাটা হয় যখন পাশের লাইনে কর্ণাটক এক্সপ্রেস।
মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাচোরার কাছে জলগাঁও জেলার যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের। আমি মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আমার কলিগ মন্ত্রী গিরীশ মহাজন ও এসপি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। জেলাশাসকও যাচ্ছেন। গোটা জেলা প্রশাসন রেলের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। আহতদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে কিছু যাত্রী ঝাঁপ দিয়েছিলেন। অপর দিক থেকে ট্রেন আসছিল। সেই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন কয়েকজন। অন্তত ১০জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম সংখ্যক বা তার থেকে কিছু বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছে সেই পরিবারগুলিকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখপাত্র স্বপ্নীল নীলা জানিয়েছেন, পুষ্পক এক্সপ্রেসের কিছু যাত্রী নেমে পড়েছিলেন। কর্ণাটক এক্সপ্রেস ধাক্কা দেয় তাঁদের।
জলগাঁও জেলার পুলিশ সুপার ডঃ মহেশ্বর রেড্ডি জানিয়েছেন, ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচজন আহত। আহতদের পাঁচোরা তালুকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এক রেল আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, সম্ভবত হট অ্য়াক্সেল অথবা ব্রেক বাইন্ডিংয়ের কারণে এই ফুলকি বেরিয়েছিল। এতে কিছু যাত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তারা চেন টানেন। কিছু যাত্রী লাফ দেন। আর সেই সময়ই উলটো দিক থেকে কর্ণাটক এক্সপ্রেস আসছিল।