ফের নতুন করে অশান্ত বাংলাদেশ। মহম্মদ ইউনুস বার্তা দিয়েছেন, হিংসা যাতে না ছড়ানো হয়। হিংসা আমাদের শত্রু। কিন্তু সেনার আয়ত্তে থাকা বাংলাদেশকে ঘিরে এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসছে তা উদ্বেগের। এমনকী দেখা যাচ্ছে, ভারতবিরোধী কথাও বলা হচ্ছে ওপার থেকে। তবে সেই ওপার থেকেই কিন্তু প্রচুর রোগী এই ভারতেই আসেন চিকিৎসার জন্য। এখান থেকে সুস্থ হয়ে তাঁরা ফিরে যান নিজের দেশে।
তবে বাংলাদেশের অশান্তির জেরে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে রোগী আসার সংখ্য়া কিছুটা হলেও কমেছে। একদিকে ই এম বাইপাস, ঠাকুরপুকুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য আসেন। অনেকে আবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে ভেলোরে চিকিৎসার জন্য আসেন। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা রোগীর সংখ্য়া ক্রমশ কমছে।
মূলত বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার পরে তাঁরা মূলত কলকাতায় হাসপাতাল সংলগ্ন বিভিন্ন গেস্ট হাউসে থাকেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে আবাসিকদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
বাইপাস লাগোয়া পর পর যে বেসরকারি নার্সিংহোমগুলি রয়েছে সেখানে প্রচুর রোগী আসেন বাংলাদেশ থেকে। অনেকে ওপিডিতে দেখান। প্রয়োজনে তাঁরা ভর্তি হন। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেকে ভারতে আসতে পারছেন না। অন্য়দিকে বাংলাদেশ থেকে বহু রোগীর পরিজনরা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁরা দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সবসময় নজর রাখছেন। এদিকে দেশের বাড়িতে তাঁদের প্রিয়জনরা রয়েছেন। তাদের অনেকেই চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ভারতে বসে সেই বাংলাদেশীরা এখন চিন্তা করছেন দেশের বাড়ির কথা। এদিকে একাধিক ক্ষেত্রে কীভাবে অশান্ত বাংলাদেশে তাঁরা ফিরে যাবেন তা নিয়ে আশঙ্কার মধ্য়ে রয়েছেন।
সব মিলিয়ে একদিকে যেমন বাংলাদেশ থেকে অন্যত্র চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন। আবার ভারতে যারা চিকিৎসা করাতে এসেছেন তাঁরা ভাবছেন এই অশান্ত বাংলাদেশে গেলে এখন আরও বিপদ হবে না তো?
সব মিলিয়ে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। এদিকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা কথা উঠে আসছে। তবে তার মধ্যেই খবর আসছে বাংলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন বলে খবর। জলপাইগুড়িতে এনিয়ে বিএসএফ কড়া পদক্ষেপ নেয়। খোলা বর্ডার দিয়ে কেউ যাতে বাংলায় প্রবেশ করতে না পারেন সেটা বিএসএফ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।