ক্রেতা সুরক্ষার কথা নানা মহল থেকেই বলা হয়। তবে বাস্তবে ক্রেতারা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। জাগো গ্রাহক জাগোর কথাও লেখা হয়। তবে এবার বাস্তবেই ক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সরকারিস্তরে। নতুন বছরে এবার থেকে কোনও পণ্য়ের মোড়কের উপর একেবারে স্পষ্টভাবে লিখতে হবে, সেটা কবে তৈরি হয়েছিল। আগে অনেক ক্ষেত্রেই পণ্য উৎপাদনের তারিখ, সেটা কবে আমদানি করা হয়েছে বা সেটা কবে প্যাকেটজাত করা হয়েছে সেটা লেখা হত। তবে এবার নির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট প্যাকেটের উপর লিখতে হবে সেই জিনিসটি কবে তৈরি হয়েছিল। মানে উৎপাদন কবে হয়েছিল সেটা জানাতে হবে।
সেই সঙ্গে পণ্যের দাম নিয়েও আরও নির্দিষ্টভাবে লেখার কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ আগে এমআরপি হিসাবে দামটা লেখা হত। তবে বর্তমানে এমআরপি তো লিখতেই হবে। সেই সঙ্গেই প্রতি ইউনিট ওই পণ্যটির দাম কত সেটা লিখতে হবে।
অর্থাৎ যদি ৫কেজি কোনও জিনিস থাকে তবে প্রতি কেজির দাম উল্লেখ করতে হবে। এতে ক্রেতাদের বুঝতে আরও সুবিধা হবে। তরল পদার্থ হলেও প্রতি ইউনিটের দাম উল্লেখ করতে হবে। মূলত দুটি বিষয় সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন করতে চাইছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। সেই সঙ্গেই উৎপাদনকারী সংস্থা যাতে ভুলভাল কিছু না দেয়, না ঠকায় সেটার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা যে জিনিসটি কিনছেন সেটা কবে তৈরি হয়েছে সেটা তাঁরা আরও নির্দিষ্টভাবে জানতে পারবেন। সেই সঙ্গেই ওই জিনিসটির প্রতি ইউনিট কত দাম সেটাও জানা যাবে।
একদিকে জিনিসটির উৎপাদন আর অন্যদিকে জিনিসটির ইউনিট পিছু দাম কত সেটা নিয়ে যাতে কোনওরকম বিভ্রান্তি ক্রেতাদের মধ্য়ে না থাকে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন বছর থেকেই এনিয়ে কড়া অবস্থান নিচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক।