সুইস এয়ারের ফ্লাইট। ব্য়াংকক থেকে জুরিখের দিকে যাচ্ছিল ওই বিমান। সেই বিমানের ভেতর একটি ভিডিয়ো তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিমানের মধ্যেই এক দম্পতি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিল বলে খবর। আর সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে।
একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এক দম্পতির যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, যার জেরে বিমান সংস্থা অভ্যন্তরীণ তদন্তে নেমেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে।
সুইস এয়ারের যাত্রীবাহী বিমানের ককপিট নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে ওই দম্পতিকে বিমানের গ্যালারিতে দেখা গেছে। গত নভেম্বরে ব্যাংকক থেকে জুরিখ যাওয়ার পথে সুইস এয়ারের ১২ ঘণ্টার ফ্লাইট ১৮১ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর এক ব্যবহারকারী ফুটেজের ঝাপসা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, সম্প্রতি ব্যাংকক থেকে জুরিখগামী সুইস এয়ারের একটি ফ্লাইটে এক দম্পতি প্রথম শ্রেণির গ্যালিতে মাইল-হাই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন এবং পাইলটরা গোপনে রেকর্ড করেছিলেন।
তারা আরও জানিয়েছে, গ্রুপ চ্যাটে ফুটেজ শেয়ার করার জন্য ককপিট ক্রুদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যা ভাইরাল হয়ে গেছে।
সুইস এয়ার গোপনীয়তা ‘লঙ্ঘন’ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে, বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা দম্পতির সম্মতি ছাড়াই ভিডিওটি রেকর্ড করার জন্য দায়ী ক্রু সদস্যদের শনাক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সুইস এয়ারের গণমাধ্যমের মুখপাত্র মেইকে ফুহলরট ডেইলি মেইলকে বলেন, 'স্পষ্ট সম্মতি ছাড়া লোকজনকে ভিডিও করা এবং এই রেকর্ডিং স্থানান্তর আমাদের নীতিমালা ও মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং প্রযোজ্য ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে ক্রুদের ঘটনাটি ভিডিও করার পরিবর্তে ক্যামেরায় দম্পতিকে দেখার পরে ‘সরাসরি হস্তক্ষেপ’ করা উচিত ছিল।
৯/১১ বিমান ছিনতাইয়ের পর ক্রুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ককপিটের দরজার ওপরে লাগানো লাইভ ফিড ক্যামেরায় এই যৌন কর্মকাণ্ড ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
ক্যামেরাটি ককপিটে হুমকি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রস্থান করা নিরাপদ কিনা তা পাইলটদের দেখানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যৌন কার্যকলাপটি একটি পৃথক ডিভাইস ব্যবহার করে ঘটনাটি ভিডিও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে, যার ধারাভাষ্য শোনা গেছে।
বিমান সংস্থা ভাইরাল ভিডিওটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য উভয়েরই নিন্দা জানিয়েছে এবং এটিকে যাত্রীদের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।