যৌনপল্লী বা মধুচক্রে তল্লাশি অভিযানের সময়ে যৌনকর্মীদের গ্রেপ্তার বা শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। এমনই রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের উল্লেখ করে বলা হয়, কোনও মধুচক্রতে অভিযান চালানো হয়, যৌনকর্মীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি বা হয়রানি করা উচিত নয়। কেবলমাত্র যৌনব্যবসা চালানোটাই বেআইনি।
উচ্চ আদালতের রায়ের উদাহরণ সাপেক্ষে বিচারপতি এন সতীশ কুমার একটি এফআইআর বাতিল করেন। মধুচক্রর এক 'গ্রাহকে'র বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল।
'কেবলমাত্র আবেদনকারী সেই জায়গায় ছিলেন বলেই, পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আবেদনকারীকে কোনও শাস্তি দিয়ে বেঁধে রাখা যাবে না,' বিচারক বলেন।
ওই ব্যক্তিকে চেন্নাইয়ের চিন্তাদ্রিপেটের এক মধুচক্র থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। 'ম্যাসাজ সেন্টারে' অভিযান চালানোর সময় ওই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। পুলিশি অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করেন ওই ব্যক্তি।
আবেদনকারীর আইনজীবী অনুরোধ করেন, সবকটি অভিযোগ একসঙ্গে নেওয়া হলেও এটি কোনও অপরাধ নয়। যৌন কাজ করা অবৈধ নয়। শুধুমাত্র একটি মধুচক্র চালানোটাই অবৈধ। যৌনকর্মীরা তাঁদের নিজের ইচ্ছায় পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। কোনও প্রলোভন, বলপ্রয়োগ বা জবরদস্তির কারণে নয়। তাই, এই ধরনের কাজগুলি আইপিসির ৩৭০ ধারার অধীনে বিচারের জন্য প্রযোজ্য নয়।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনও যৌনকর্মী এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক নিজেদের সম্মতিতে যৌনকর্মে লিপ্ত হলে, পুলিশকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
উক্ত কেসে এফআইআরে যৌনকর্মীদের উপর কোনও জবরদস্তির হদিশ ছিল না।
আবেদনকারীকে যৌনকর্মীকে যৌন কাজ করার জন্য বাধ্য করা ব্যক্তি হিসাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে না। ফলে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়া নিরর্থক হবে বলে জানায় আদালত। সেই কারণে মামলাটি বাতিল করে দেন বিচারক।