শুক্রবার মধ্যপ্রদেশে ট্রেনে ভ্রমণকারী দুই কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন এক মহিলা যাত্রী। অভিযুক্ত দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। মহিলার অভিযোগ, বিধায়করা মাতাল ছিলেন, অশালীন ভাষা ব্যবহার করছিলেন এবং তাকেঁ হেনস্থা করছিলেন। জানা গিয়েছে, রেওয়া-হবিবগঞ্জ রেওয়াঞ্চল এক্সপ্রেসে তাঁর সন্তানকে সঙ্গে করে ভ্রমণ করছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। ঘটনার বিষয়ে তিনি ফোনে নিজের স্বামীকে জানান। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হলেন সাতনার বিধায়ক সিদ্ধার্থ কুশওয়াহা এবং কোটমার বিধায়ক সুনীল সরফ।
জানা গিয়েছে, স্ত্রীর কাছ থেকে গোটা ঘটনা জেনে তাঁর স্বামী রেলওয়েকে ট্যাগ করে একটি টুইট করেন। এরপরই সাগর স্টেশনে আরপিএফ জওয়ানরা সেই কামরায় উঠে মহিলাকে সাহায্য করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয় সাতনার বিধায়ক সিদ্ধার্থ কুশওয়াহা এবং কোটমার বিধায়ক সুনীল সরফের বিরুদ্ধে।
এদিকে অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ কুশওয়াহা দাবি করেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘মহিলাটি একটি শিশুর সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন। তাই আমি তাঁকে আমার আসনে বসার জন্য বলেছিলাম। আমি খুব বিনয়ের সঙ্গেই তাঁর সঙ্গে কথা বলি। সুনীলজি তাঁকে সৌজন্যতার খাতিরে খাবার দিয়েছিলেন। আমি জানি না কেন তিনি আমাদের আচরণে বিরক্ত বোধ করেন এবং অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
এদিকে নির্যাতিতা মহিলার স্বামী জানান যে তাঁরা যখন অভিযোগ জানান, তখন জানতেন না যে সেই দু’জন কংগ্রেস বিধায়ক। মহিলার স্বামী বলেন, ‘আমি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং আমার স্ত্রীকে সাহায্য করে।’ এদিকে জিআরপি জানায়, একজন সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর এবং কনস্টেবল ট্রেনে উঠে মহিলার আসন পরিবর্তন করেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয় এবং একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিকে মহিলার বক্তব্য, ‘এসি ফার্স্ট ক্লাস কামরায় ভ্রমণ করার সময় দুই জন আমার সামনের আসনে বসে খাবার খাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আমার হাত ছুঁয়ে আমাকে খাবার দিতে চান। তাঁরা মাতাল ছিলেন। ক্রমাগত অশালীন ভাষায় কথা বলছিলেন তাঁরা। এরপর তাঁরা আবার আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। আমি তাঁদের বাধা দিলেও তাঁরা আমার কথা শোনেননি।’