বাম শাসিত কেরল। সেখানেই এবার এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ। সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। এবার সেই কেরলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের ছাত্র সংগঠনের ভোটে এক এরিয়া কমিটির নেতার বিরুদ্ধে বড় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে?
সূত্রের খবর, থিরুবনন্তপুরমে কাট্টাকারা খ্রিশ্চিয়ান কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেখানে ইউনিভার্সিটি ইউনিয়ন চ্যান্সেলার পদে একজন জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নামটি ঘুরপথে বাতিল করে এ বিশাখ নামে এক নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি এলাকার প্রভাবশালী কমরেড। এরপরই এনিয়ে হইচই পড়ে যায়। তিনি আবার এসএফআইয়ের এরিয়া কমিটি সেক্রেটারি। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে তাকে আপাতত ছাত্র সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরোমাল ও আনাখা দুজনেই এসএফআই থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোট হয়েছিল। এদিকে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে যে নাম পাঠানো হয়েছিল সেখানে সুকৌশলে আনাখার নামের জায়গায় নাম রাখা হয়েছিল বিশাখের নাম।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, স্থানীয় সিপিএম ও এসএফআই নেতারা প্রভাব খাটিয়ে জয়ী প্রার্থীর নামটাকে সরিয়ে দিয়ে বিশাখের নামটা রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধরা পড়ে যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ মনোরমা নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। কলেজের প্রিন্সিপাল জিজে সাইজু জানিয়েছিলেন, কাউন্সিলর হিসাবে যে ছাত্রী জয়ী হয়েছিলেন তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। সেকারণেই বিশাখের নামটা রাখা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম বলছে কোনও জয়ী প্রার্থী যদি পদত্যাগ করেন তবে সেই জায়গায় আবার ভোট হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হল না। কোনও ভোট না করেই কীভাবে শুধু প্রভাব খাটিয়ে বিশাখের নামটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তেই সিপিএম নেতৃত্ব বিশাখকে আপাতত সাসপেন্ড করেছে। জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সি জায়ান বাবুকে বিষয়টি দেখার জন্য দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউইউসি ভোট আগামী আগামী ২৬ মে হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সামগ্রিক ডামাডোলের জেরে সেই ভোট আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিকে এসএফআইয়ের এই মারাত্মক স্বজনপোষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুব কংগ্রেস ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে।