ভিনদেশের রাষ্ট্রপতির আয়োজিত ‘সিরিয়াস’ অনুষ্ঠান। আর সেটাকে মাতিয়ে তুললেন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং নিজেদের দেশের রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সামনেই শাহরুখ খান এবং কাজলের ব্লকবাস্টার সিনেমার বিখ্যাত গান ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা’ গাইতে শুরু করে দেন তাঁরা। হিন্দিতেই পাঁচজন সেই গান গাইতে থাকেন। যা উপভোগ করতে থাকেন সেই চক্রে হাজির থাকা শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁদের চোখে-মুখে সেটা ধরাও পড়ে। দিতে থাকেন হাততালি। আর সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন কাজল।
‘সত্যিই গর্বিত হচ্ছে’, আপ্লুত কাজল
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেরদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিদের গানের ভিডিয়ো শেয়ার করে কাজল লেখেন, ‘সকলকে একইসূত্রে গেঁথে ফেলার যে ক্ষমতা আছে বলিউডের, সেটা আবারও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দল যে কুছ কুছ হোতা হ্যা গেয়েছে, সেটা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী মুহূর্ত। সত্যিই গর্ববোধ হচ্ছে।’
৩০ বছর পরেও ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা’-র জাদু অব্যাহত
আর সত্যিই গর্ববোধ হওয়ার কথা। কারণ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা’ আজ বা কালকের সিনেমা নয়। সেই ১৯৯৮ সালে শাহরুখ, কাজল এবং রানি মুখোপাধ্যায়ের অভিনীত সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। করণ জোহরের প্রথম সিনেমা ছিল সেটি। আর ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল। ভারত তো বটেই, বিদেশেও রমরমিয়ে চলেছিল ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা’। আর সেই সিনেমার নাম ‘কুছ কুছ হোতা হ্যা’-ও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এখনও বহু মানুষের হৃদয়ে সেই গানটা রয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি দলের পাঁচজন সদস্য যে আছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি
এমনিতে এবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি। সেজন্যই ভারত সফরে আসেন। আজ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি।
তারপর আজ সকালে দু'দেশের রাষ্ট্রপতি একইসঙ্গে দিল্লির কর্তব্য পথে আসেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংদের সঙ্গে বসে কুচকাওয়াজ দেখেন তাঁরা। কুচকাওয়াজ শুরুর আগে যখন প্রথামাফিক ভারতের জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে, তখন তাঁকেও স্যালুট করতে দেখা যায়। তারপর ইন্দোনেশিয়ার সামরিক দল যখন কর্তব্য পথের কুচকাওয়াজে অংশ নেয়, তখনও তাঁর চোখেমুখে গর্বের চিহ্ন ধরা পড়ে।