শাহিন বাগ মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্টে প্রচুর ‘যদি’ এবং ‘কিন্তু’ রয়েছে বলে বুধবার ওই মামলার শুনানিতে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। এই কারণে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দিয়ে আগামী ২৩ মার্চ ফের শুনানির দিন ধার্য করল শীর্ষ আদালত।
শাহিন বাগ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অবস্থান অন্যত্র সরানোর বিষয়ে দুই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পরে বিষয় সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছেন মধ্যস্থতাকারী দুই আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামচন্দ্রন।
মুখবন্ধ খামে ভরে দুই দিন আগে জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে যে সমস্ত সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, সে সমস্ত বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস কে কাউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ।
রিপোর্টটির আনুষ্ঠানিক নথিভুক্তিকরণ না করলেও তা কোনও আইনজীবীকে দেখার অনুমোদনও দেয়নি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। মামলায় আবেদনকারীরা রিপোর্টের নকল চাইলে বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, আপাতত তা গোপনীয়ই রাখা হবে। আদালত জানায়, ‘মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের উদ্দেশ্য ভিন্ন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট শুধুমাত্র আমাদের জ্ঞাতার্থের জন্য তৈরি হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে প্রধান তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হবিবুল্লা জানিয়েছিলেন, শাহিন বাগে রাস্তার উপর অবস্থানরত সিএএ প্রতিবাদীদের জোর করে সরানোর কোনও চেষ্টা হলে তা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। পুলিশের দ্বারা ওই সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করায় এলাকায় যান চলাচলে কোনও প্রভাব ফেলেনি বলেও জানিয়েছিলেন হবিবুল্লা।
সংবিধান উল্লিখিত প্রতিবাদের মৌলিক অধিকারের কথা মাথায় রেখে অবস্থানকারীদের সঙ্গে বিক্ষোভস্থল সরানোর বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশে তখনই দুই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করার সিদ্ধান্তে পৌঁছয় শীর্ষ আদালত।