ধর্ষণের মামলায় এফআইআর এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন। বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট ধর্ষণের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দিয়েছিল। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য তিন মাসের সময়সীমাও নির্ধারণ করেছিল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে এখন শীর্ষ আদালতে গেলেন শাহনওয়াজ হুসেন। (আরও পড়ুন: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হোস্টেলের মেয়েদের শ্লীলতাহানি নিরাপত্তারক্ষীর,ভাইরাল ভিডিয়ো)
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ধর্ষণ মামলায় দিল্লি হাই কোর্টের আদেশে শাহনওয়াজ হুসেন বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন। এই আবহে শাহনওয়াজের আইনজীবী প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার বেঞ্চে জরুরি শুনানির জন্য আবেদন পেশ করেছেন। শাহনওয়াজ হুসেনের আইনজীবী বলেছেন যে বিষয়টি জরুরীভাবে শোনা উচিত কারণ এতে এক রাজনৈতিক নেতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের বাসভবনে নিরাপত্তার গাফিলতির দায়ে ৩ CISF জওয়ানকে বরখাস্ত করা হল
আজ শীর্ষ আদালতে শাহনওয়াজের আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেলের জনগণের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে বিগত ৩০ বছর ধরে। অকারণে তাঁর মানহানি করা হচ্ছে। যদি অবিলম্বে এটি শোনা না হয়, তাহলে পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করবে এবং এমন পরিস্থিতিতে এই আবেদনের কোনও অর্থ থাকবে না।' এর আগে বুধবার দিল্লি হাই কোর্ট ট্রায়াল কোর্টের আদেশ বহাল রেখে শাহনওয়াজ হুসেনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশকে।
হাই কোর্ট বলে, শাহনওয়াজ হুসেনের আবেদনের কোনও ভিত্তি নেই। তাই তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। আদালত বলে যে এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা উচিত এবং কতটা তদন্ত করা হয়েছে এবং কী পাওয়া গিয়েছে সে সম্পর্কে তিন মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি আশা মেননের বেঞ্চ তাঁর আদেশে বলেছে, ‘মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া এফআইআরের আদেশে কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি।’ আদালত বলেছে যে এই ক্ষেত্রে পুলিশের একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে সিআরপিসির ১৭৩ ধারার অধীনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া উচিত।