সরযূ নদীর সেতুতে বেজে উঠল ঢোল, চলল ফুলের বর্ষণ, শোনা গেল শ্রীরামচন্দ্রের জয়ধ্বনি। এভাবেই নেপাল থেকে আসা শালগ্রাম শিলাকে স্বাগত জানাল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। সপ্তাহব্যাপী যাত্রার পর উৎসবের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিশেষ দুই শালগ্রাম শিলা প্রবেশ করল অযোধ্যায়। যে শিলা দিয়ে তৈরি হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের শ্রীরামচন্দ্র ও সীতাদেবীর মূর্তি।
নেপালের জনকপুর থেকে অযোধ্যায় আসা এই বিশাল শিলাকে সাদরে গ্রহণ করেন স্থানীয়রা। কয়েক হাজার ভক্তের সমাগমে এই আয়োজন চলে। চলে শালগ্রাম শিলা ঘিরে বিশেষ পুজো। তারপর সেই শিলা ‘শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, বিশেষ এই শালগ্রাম শিলাকে দেবতা বিষ্ণুর অংশ বলে মনে করা হয়। আর সেই কারণেই সীতাদেবী ও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি গড়তে বিশেষ এই শিলা নিয়ে আসা হয়েছে নেপালের জনকপুরী থেকে। জানা যায়, কালী গণ্ডকী নদীর তীরে এই বিশেষ শালগ্রাম শিলা পাওয়া যায়। নেপালের মেয়াংগ্রি ও মাস্তাং জেলার কিছু অংশে এই বিশেষ শিলা পাওয়া যায়। যে দুটি শালগ্রাম শিলা দেশে আনা হয়েছে, তার একটির ওজন ১৮ টন, অন্যটির ১৬ টন। জানা গিয়েছে, ভারী পণ্য বহনকারী ট্রাকে নেপাল থেকে আনা হয়েছে এই শালগ্রাম শিলা। জানা যায়, প্রযুক্তিগতভাবে ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে এই শিলা মূর্তি নির্মাণের জন্য সঠিক বলে বিবেচিত হয়। তারপর বিভিন্ন মানদণ্ডে বেছে এই শিলাকে দেশে আনা হয়েছে। ('পুলিশের উর্দিতে' ছিল সুইসাইড বম্বার! পাকিস্তানে বিস্ফোরণে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য)
জানা গিয়েছে, নেপালের জানকি মন্দির কর্তৃপক্ষ এই শিলা কালী গণ্ডকী নদী থেকে তুলে আনতে সাহায্য করে। সীতাদেবীর জন্মস্থান নেপালের জনকপুরে অবস্থিত রয়েছে এই বিশেষ মন্দির। সেখান থেকেই এসেছে এই শিলা। এদিকে, এই পাথর নেপাল থেকে অযোধ্যার রামসেবকপুরে সোজা আসে। সেখানে বিশেষ পুজো সম্পন্ন হয়। লক্ষ্মীবার বৃহস্পতিবারে সেই পুজো সম্পন্ন হয়। এরপর এই শিলা রামন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে রামমন্দিরে বিশেষ এক স্থানে এই শিলা রাখার বিশেষ বন্দোবস্ত রয়েছে। জানা গিয়েছে, যে দুটি শিলা আনা হয়েছে, তা ৬০০ বছরের পুরনো। কীভাবে এই শিলা দিয়ে মূর্তি কোন আদলে তৈরি হবে, তার জন্য বিশিষ্ট বেশ কিছু ভাস্করদের সঙ্গে আলোচনা করে ট্রাস্ট। তারপরই এই শিলা গত ১ বছরের উদ্যোগে ভারতে আনে রামমন্দির ট্রাস্ট। এরপর এই শিলা দিয়ে মূর্তি নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup