নীতীশ কুমার ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পা ছুঁয়েছেন। নিজের রাজনৈতিক দলের প্রচার সভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন রাজনৈতিক কৌশলবিদ থেকে রাজনীতিক হওয়া প্রশান্ত কিশোর।
প্রশান্ত কিশোর ভাগলপুরে এক জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন আমি নীতীশ কুমারের সমালোচনা করছি। অতীতে তার সঙ্গে কাজ করেছি। তখন তিনি অন্য মানুষ ছিলেন। তাঁর বিবেক বিক্রি হয়নি।’
২০১৫ সালে নীতীশ কুমারের নির্বাচনী প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। দুই বছর পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘একটি রাজ্যের নেতা তার জনগণের গর্ব। কিন্তু নীতীশ কুমার বিহারকে অপমানিত করেছেন। দিল্লিতে এনডিএ বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পা ছুঁয়েছেন।’
আরও পড়ুন। ‘ভুল করে সরকার গঠিত হয়েছে, যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারে’ তোপ খাড়গের
নীতীশ কুমারের জেডিইউ লোকসভা নির্বাচনে ১২টি আসন জিতেছে। বিজেপির পর তারা এনডিএ-র দ্বিতীয় বৃহত্তম সহযোগী।
প্রশান্ত কিশোর আরও দাবি করেন, ‘নীতীশ কুমারের প্রভাব নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্ষমতায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু তিনি রাজ্যের জন্য কোনও সুবিধা আনছেন না। তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিজেপির সমর্থন পেতে পা ছুঁয়েছেন।’
তবে এই প্রথম নয় এর আগেও মোদীর পা ছুঁতে দেখা গিয়েছে নীতীশ কুমারকে। এপ্রিলে বিহারে একটি জনসভায় মঞ্চে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন নীতীশ। ঘটনাচক্রে দু’জনেই সমবয়সী। দুজনের বয়সই ৭৩।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফল নিয়ে পূর্বাভাস দিতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিজেপির আসন সংখ্যা ৩০৩-এর আশেপাশে থাকবে। এমন কি আসন তা ছাড়িয়েও যেতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, ২৪০-এ আটকে গিয়েছে বিজেপির আসন সংখ্যা। পরে অবশ্য প্রশান্ত কিশোর স্বীকার করে নেন তাঁর পূর্বাভাস ভুল ছিল। তিনি আগামী দিনে এই ধরনের পূর্বাভাস না করার কথাও জানান। ফলপ্রকাশের পর ফের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।