অযোধ্যার রাম মন্দিরকে অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছেন চার শঙ্করাচার্য। এবার সুরবদল করলেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন শঙ্করাচার্য। তিনি বলেছেন, মোদীই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি হিন্দুদের আত্মসম্মান সম্পর্কে সচেতন করেছেন। তাঁর আমলে হিন্দুদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রাম ফিরছেন বাড়ি... প্রিয় মানুষকে আজ এই বিশেষ বার্তা দিতে ভুলবেন না
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শঙ্করাচার্য বলেছেন, ‘আমি মোদী বিরোধী নয়, আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসক। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য হিন্দুরা তাদের আত্মসম্মান সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। সত্য হল প্রধানমন্ত্রী মোদী হিন্দুদেরকে আত্মসচেতন করে তুলেছেন, যা ছোট জিনিস নয়। আমরা জনসমক্ষে বেশ কয়েকবার বলেছি যে আমরা মোদি বিরোধী নই, আমরা তাঁর প্রসংশক। ভারতের অন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম বলুন যিনি আগে মোদীর মতো হিন্দুদের শক্তিশালী করেছিলেন। আমাদের অনেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তারা সবাই ভাল ছিলেন। আমরা কারও সমালোচনা করছি না।’
নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করতে গিয়ে, শঙ্করাচার্য আরও বলেন, ‘যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল আমরা কি সেটাকে স্বাগত জানাইনি? যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এল, আমরা কি তার প্রশংসা করিনি? আমরা কি প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বচ্ছতা অভিযানে বাধা দিয়েছি? রাম মন্দির তৈরি করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি ঘটেনি। আমরা তারও প্রশংসা করেছি।’
হিন্দু ধর্মের তত্ত্বাবধায়ক চার শঙ্করাচার্য।এর আগে চার শক্তিপীঠের চারজন শঙ্করাচার্যই ঘোষণা করেন তাঁরা রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। স্বামী আভিমুক্তেশ্বরানন্দ বলেছিলেন, মন্দিরটি অসম্পূর্ণ এবং তাই সেখানে নতুন মূর্তির প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করা ঠিক নয়। ৯ জানুয়ারি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জানিয়েছিলেন, মন্দিরের পবিত্রতা সম্পন্ন হওয়ার আগে উদ্বোধনের কারণে ২২ জানুয়ারি চারটি ধর্মগুরুর কেউই অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন না। তিনি বলেছিলেন, ‘মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে পবিত্রতা সম্পন্ন করে ধর্মগ্রন্থগুলিকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এত তাড়াহুড়ার কোনও কারণ নেই।’