এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বুধবার জানিয়েছেন, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির সরকার গঠনের চেষ্টার একটা ভালো দিক হল এটি ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি শাসন তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল। পাশাপাশি গোটা পর্বে নিজের ভূমিকা কতটা ছিল সেদিকেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
আসলে শরদ পাওয়ার একটি সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মন্তব্য করেছিলেন অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সিনিয়র পাওয়ারের মদত ছিল। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খোলেন তিনি।
এদিকে এনসিপি চিফের দাবি, মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন না উঠলে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। তিনি বলেন ফড়নবীশ ও অজিত পাওয়ারের সঙ্গে একযোগে সরকার গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আর সেটা মহারাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলতে সহায়তা করেছিল। প্রসঙ্গত অজিত পাওয়ার হলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো।
এদিকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এই ধরনের সরকার যে তৈরি হতে যাচ্ছে এটা কি তিনি জানতেন? তখন কেন অজিত পাওয়ার চুপ করে ছিলেন? এনিয়ে শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, এসব নিয়ে কথা বলার কী আছে? যদি এরকম জিনিস না হত তবে রাষ্ট্রপতি শাসনও উঠত না আর ঠাকরেও মুখ্য়মন্ত্রী হতে পারতেন না।
এদিকে গোটা ঘটনায় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। তখন পাওয়ার কিছুটা হালকা চালেই বলেন, যখনই মহারাষ্ট্রে কিছু একটা হয় তখনই আপনারা একজনের ভূমিকার কথাই তুলে ধরেন।
২০১৯ সালে বিজেপি বুঝেছিল তাদের উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সহযোগী শিবসেনা এনসিপির সঙ্গে সরকার গড়তে চাইছে।
এদিকে ফড়নবীশ এই মাসের প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন, এনসিপির কাছ থেকে আমাদের একটা অফার ছিল। তারা একটি স্থায়ী সরকার চাইছিল। সেকারণে আমাদের একটা স্থায়ী সরকার গড়া উচিত ছিল। এরপর আমরা একসঙ্গে কথা বলা শুরু করি। এরপর শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও কথাবার্তা হয়। এরপরই ব্যাপারটি হয়েছিল। আপনারা সকলেই জানেন ব্যাপারটি কীভাবে হয়েছিল। ৮০ ঘণ্টা আগে অজিত পাওয়ারের সরকার ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর বিজেপি মহারাষ্ট্রে ১০৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপির তৎকালীন সহযোগী শিবসেনা ৫৬টি আসন পেয়েছিল। এদিকে সরকার গড়ার মতো উপযুক্ত আসন যৌথভাবে থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়। এরপর শিবসেনা তখন কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করে। যদিও আদর্শগতভাবে তাদের মধ্যে ফারাক ছিল। এরপর পরিস্থিতি বিগড়ে যাচ্ছে এটা আঁচ করেই ১২ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল।