শেয়ার বাজারে অভিষেকেই ধাক্কা খেল পেটিএম। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম দিনেই ২৪ শতাংশ পড়েছে ভারতের মোবাইল পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার শেয়ার।
রয়টার্স জানিয়েছে, যদি পেটিএমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,৫৬০ টাকায় পৌঁছে যায়, তাহলে বৃহস্পতিবার সংস্থার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের ইতিহাসে রেকর্ড ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ের (আইপিও) পরেও সংস্থার ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিনিয়োগকারী।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে ন'শতাংশ ছাড় দিয়ে পেটিএমের প্রতিটি শেয়ারের দাম ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ার নথিভুক্ত করা হয়েছে ১,৯৫০ টাকায়। তিনদিনের আইপিওতে অবশ্য প্রতিটি শেয়ারের দর ২,১৫০ টাকা পড়ছিল।
ট্রেডিনগোর প্রতিষ্ঠাতা পার্থ ন্যাতি জানিয়েছেন, সংস্থা থেকে মুনাফা হচ্ছে না। বরং ক্ষতির মুখ দেখছে ভারতের মোবাইল পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। সেই পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে যে পেটিএম লাভজনক সংস্থা হয়ে উঠবে, সেরকম কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। দীর্ঘকালীন সময়ের দিকে তাকিয়ে আগ্রাসী লগ্নিকারীরা পেটিএমে টাকা রেখে দিতে পারেন। যাঁরা নয়া বিনিয়োগকারী, তাঁরা অন্য সংস্থার দিকে নজর দিতে পারেন। যেগুলি পেটিএমের থেকে ঢের ভালো ফল পাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মনে হয়, ব্র্যান্ডের কারণে বেশি দামের দিকে ঝুঁকেছে সংস্থা (পেটিএম)। অদূর ভবিষ্যতে সংশোধন দেখা যেতে পারে।’
একই কথা বলেছেন স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্ট লিমিটেডের রিসার্চের হেডের সন্তোষ মীনা। তিনি জানান, অনিশ্চয়তার মধ্যেই দীর্ঘকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে আগ্রাসী লগ্নিকারীরা টাকা রেখে দিতে পারেন। তাঁর মতে, পেটিএমের পরিবর্তে বাজাজ ফিনসার্ভে টাকা ঢাললে বেশি ভালো হবে। কারণ পেটিএমের নিরিখে বাজাজ ফিনসার্ভের ট্র্যাক রেকর্ড ঢের ভালো।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিশেষজ্ঞদের মত একান্তই ব্যক্তিগত। তা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মত নয়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিবেদকের মত নেই সেগুলি।)