২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি শার্জিল ইমামকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। জেএনইউএয়ের পড়ুয়া শার্জিলের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগ ছিল। ২০১৯ সালে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে শার্জিল সিএএ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিংসায় উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর বহু আইনি পর্বের পর, সোমবার দিল্লির এক আদালতে শার্জিল ইমামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়।
উল্লেখ্য, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে ভাষণ দিতে দেখা যায় শার্জিলকে। ওই ভাষণগুলির ভিডিয়ো মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। দেশে সিএএ নিয়ে শার্জিলের সেই বক্তব্যে উস্কানি উঠে আসে বলে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই পদক্ষেপ করে পুলিশ। গ্রেফতার হয় শার্জিল। শার্জিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ রয়েছে ধর্ম, জাতি, জন্মস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করার। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় ঐক্য ভঙ্গ করার। এছাড়াও অবৈধ কাজকর্মের অভিযোগও রয়েছে ধৃত শার্জিলের বিরুদ্ধে। তবে এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টে শার্জিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা খারিজ হয়। সেখানে উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে ভিন্ন বার্তা উঠে আসে আদালতের তরফে।
ইতিমধ্যেই সেই মামলায় দিল্লি পুলিশ চার্জশিট তৈরি করেছে। সেখানে শার্জিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে হিংসায় উস্কানিমূলক বক্তব্যের। এছাড়াও শত্রুতা জাগিয়ে তোলা, অবমাননা সহ একাধিক ইস্যুতে অভিযোগ রয়েছে শার্জিলের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে দেশ কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয় সিএএকে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রের তরফে নগরিকত্ব আইনের প্রস্তাব আসতেই তা নিয়ে সরগরম হয় দেশের একাধিক রাজ্য। উত্তর পূর্ব প্রান্তের রাজ্যগুলি থেকে শুরু করে দিল্লির বুকে কার্যত বিভিন্ন সময়ে রণক্ষেত্রের চেহারা দেখা যায়। এমন সময়ই কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করে দিল্লি পুলিশ। সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে শার্জিল ইমামের ভিডিয়ো। এরপরই পুলিশ তাকে বহু তল্লাশির পর গ্রেফতার করে। যে ঘটনার পর এদিন নতুন করে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহের মামলা।