তালিবানের মধ্যে কি দু'জন মালায়ালিও আছে? ভাষার নিরিখে এমনই সন্দেহ প্রকাশ করলেন কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর।
মঙ্গলবার সকালের দিকে টুইটারের একটি ভিডিয়ো রিটুইট করে থারুর লেখেন, 'শুনে মনে হচ্ছে, যেখানে হয়তো কমপক্ষে দু'জন মালায়ালি তালিবান আছে - আট সেকেন্ডের কাছে একজন বলছে samsarikkette (মালায়ালাম)। অপরজন তার কথা বুঝতে পারছে।'
এক সাংবাদিকের টুইট করা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পাশে বন্দুক রেখে কাঁদছে এক ব্যক্তি। তার হাতে ফোনও ছিল। বন্দুক হাতে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে অপর একজন। ওই সাংবাদিক দাবি করেছেন, কাবুলের কাছে পৌঁছে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে তালিবানি ‘যোদ্ধারা’। সেই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই জানতে চান, কীভাবে কথা বলছেন তালিবান জঙ্গিরা। অনেকেই দাবি করেন, দক্ষিণ ভারতের কোনও ভাষায় কথা বলছে তারা। একজন তো আবার প্রশ্ন করেন, বাংলার টান আছে কি কথায়? তারইমধ্যে ওই সাংবাদিকই দাবি করেন, নথি অনুযায়ী, তালিবানে কোনও কেরালার বংশোদ্ভূত মানুষ নেই। তারা জাবুল প্রদেশের বালোচ। যারা ব্রাভি ভাষায় কথা বলে থাকে। যে ভাষার সঙ্গে দ্রাবিড়ীয় ভাষার মিল আছে। যা শুনতে অনেকটা দক্ষিণ ভারতের তেলুগু, তামিল এবং মালায়ালাম ভাষার মতো লাগে।
ওই সাংবাদিকের ওই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে থারুর বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা। কী ভাষায় কথা বলছে, তা বোঝার বিষয়টি ভাষাবিদদের উপর ছেড়ে দেব। কিন্তু অবশ্য এমন কয়েকজন ভুলপথে পরিচালিত মালায়ালি আছে, যারা তালিবানে যোগ দিয়েছে। তাই সেই সম্ভাবনা পুরোপুরিভাবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’