'কে বলেছে, কাজের জন্য লোকসভা আকর্ষণীয় নয়?' ছয় মহিলা সাংসদের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে এমনই মন্তব্য করেছিলেন শশী থারুর। তা নিয়ে রীতিমতো তোপের মুখে পড়েন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ। পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন।
সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, সুপ্রিয়া সুলে, প্রণীত কৌর, থামিঝাচি থাঙ্গাপান্ডিয়ান এবং জ্যোতিমণির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন থারুর। সঙ্গে লেখেন, ‘কে বলেছে, কাজের জন্য লোকসভা আকর্ষণীয় নয়? আজ সকালে আমার ছ'জন সহকর্মীর সঙ্গে।’ মিমি, জ্যোতিমণি সেই টুইট রিটুইটও করেন।
তবে থারুরের সেই টুইটের জেরে বিতর্ক শুরু হয়। অনেকে দাবি করেন, মহিলাদের ‘অবজেক্টিফিকেশন’ করা হয়েছে। তাতে লিঙ্গ বৈষম্য ফুটে উঠছে। সেই পোস্টের প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, 'আকর্ষণের বস্তু করে তুলে সংসদ এবং রাজনীতিতে তাঁদের (মহিলা সাংসদ) অবদানকে খাটো করছেন আপনি। সংসদের মহিলাদের অবজেক্টিফাই করা বন্ধ করুন।' সুপ্রিম কোর্টের এক মহিলা আইনজীবী তোপ দাগেন, থারুরের মতো একজন মার্জিত এবং শিক্ষিত মানুষ মহিলা সাংসদদের কীরকম দেখতে, তা নির্ধারণ করছেন। এটা ২০২১ সাল।
অনেকে আবার থারুরের সমর্থনেও এগিয়ে আসেন। ভারতীয় শাটলার জোয়ালা গুট্টা জানান, সব বিষয়কে আতসকাঁচের তলা দিয়ে দেখা উচিত নয়। কিছু বিষয়কে মজার ছলে দেখা উচিত। সংসদের সব মহিলার জন্য এটা প্রশংসামূলক বার্তা। যাঁদের নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বদ্ধমূল ধারণা গড়ে ওঠে। একইসুরে থারুরের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র কটাক্ষ করেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল নিয়ে সরকার যে কোনও আলোচনা করেনি, তার থেকে নজর ঘোরানোর জন্য সারবত্তাহীন জিনিস নিয়ে যে থারুরের দিকে ধেয়ে আসা হচ্ছে, তাতে একেবারেই আশ্চর্য নন।
তারইমধ্যে সেই বিতর্কিত টুইটের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন থারুর। তিনি বলেন, 'পুরো সেলফির ঘটনাটি একেবারে ভালোভাবে করা হয়েছে (মহিলা সাংসদের উদ্যোগে)। তাঁদের আমায় সেই মনোভাবের সঙ্গেই টুইট করতে বলেছিলেন। যদি কিছু লোক অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'