খাদ্যাভাস নিয়ে মন্তব্য করে তুমুল বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বিরোধীরা তো বটেই দলের সতীর্থরাও তাঁর এই মন্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করেননি। আর তারপরেই দলের তরফে কড়া বার্তা পেয়ে নিজের মন্তব্য বদলালেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। নিজের মন্তব্য পরিবর্তন করে তিনি বলেছেন, খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে ভেদাভেদ উচিত নয়। একইসঙ্গে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিভেদ সৃষ্টিকারী কোনও আইন গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে সইফের পাশে করিনা! এমন ছবি কোথায় পেলেন শত্রুঘ্ন, তৃণমূল সাংসদ লিখলেন…
বিবৃতি জারি করে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, বিজেপির অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বিজেপি ভেদাভেদ এবং মেরুকরণে রাজনীতি করে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনও মানুষের খাদ্যাভাস, ধর্মচারণ এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী আইনকে সমর্থন করে না।দেশের সর্বস্তরে ঐক্য বজায় রাখার পক্ষে দাবি জানান, শত্রুঘ্ন। তিনি আরও বলেন, যে ভারতের মতো দেশে বিভেদ এবং ঘৃণা সৃষ্টিকারী কোনও চিন্তাধারার স্থান নেই।
কী বলেছিলেন সাংসদ?
শত্রুঘ্নর বিতর্কিত মন্তব্য সামনে এসেছিল গত মঙ্গলবার। সংসদের বাইরে তিনি বলেছিলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোমাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সাংসদ নিজের মত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, শুধু গোমাংস নয় গোটা দেশে আমিষ খাবারই নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও জানান, দেশের বেশ কিছু অংশে এখনও গোমাংস নিষিদ্ধ হয়নি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত। এরপরই তিনি বলেছিলেন, ‘ওঁহা খাও তো ইয়ামি, ইয়াহা খাও তো মাম্মি।’ এটা মেনে নেওয়া যাবে না বলেই তিনি জানান। সাংসদ জানান, খাদ্যাভাস নিয়ে গোটা দেশে আইন একই থাকা উচিত। দেওয়ানি বিধি নিয়ে তিনি বলেন, গোটা দেশে একই আইন চালু হওয়া উচিত। তবে অনেক আইনি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। ভোটকে সামনে রেখে হঠাৎ করে এটি চালু করলে হবে না। তার আগে সর্বদলকে বৈঠকে ডাকা উচিত। আর সংসদের মন্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়।তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবিরও এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, মাছ আমিষের মধ্যে পড়ে। আর বাঙালির প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে মাছ। কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। তাই সাংসদের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেই তিনি জানান।