ট্রেনে বসে সিগারেট টানছিলেন। জানতে পেরেই জরিমানা করেছিলেন রেলকর্মীরা। আর তাতে লজ্জিত হওয়ার বদলে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন এক যাত্রী। বদলা নিতে 'প্র্যাঙ্ক কল' করে নাস্তানাবুদ করলেন রেলকর্মীদের।
ঘটনাটি কর্ণাটক এক্সপ্রেসের। ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯.১৫ মিনিটে নয়া দিল্লি থেকে রওনা দেয় ট্রেনটি। সেই ট্রেনেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। ট্রেনে যেতে যেতে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই ধরা পড়ে যান। মোটা টাকা জরিমানা করা হয় তাঁকে।
এরপরেই রেগে যান তিনি। ওই ব্যক্তি ও তাঁর ভাই মিলে স্থির করেন, এর প্রতিশোধ নেবেন তাঁরা। পরিকল্পনামাফিক ১৪ ডিসেম্বর আগ্রা আরপিএফ-কে ফোন করেন তাঁরা। তাতে বলেন, 'খুব সাবধান, কর্ণাটক এক্সপ্রেসে বোমা রাখা আছে।'
ফোন পেয়েই হকচকিয়ে যান আরপিএফ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কর্ণাটকের জিআরপি-কে খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ১১টায় অন্ধ্রপ্রদেশের ধর্মভরম স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানো হয়। পৌঁছে যায় পুলিশের বাহিনী। সঙ্গে স্নিফার ডগ, মেটাল ডিটেক্টর। ট্রেনের সব বগিতে তল্লাশি শুরু করে জিআরপি ও আরপিএফ।
এভাবে কয়েক ঘণ্টা তন্নতন্ন করে খুঁজেও বোমার কোনও হদিশ পাননি তাঁরা। রাত ৩টে নাগাদ পুরো ট্রেনের প্রতিটা অংশ চেক করা হয়ে যায়। এরপরেই বুঝতে পারেন, হুমকি ভুয়ো!
এরপরেই যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তা ট্র্যাক করা হয়। যানা যায়, ওই ট্রেনেরই এক যাত্রী এই ফোন করেছিলেন। তাঁকে পুলিশকর্মীরা সকলে মিলে জেরা করতেই চাপের মুখে ভেঙে পড়েন। জানান ধূমপানের জরিমানা করার বদলা নিতেই তিনি ও তাঁর ভাই এই ফন্দি আঁটেন। এরপর ট্রেন ফের চলতে শুরু করে। ওয়াদি জংশনে ট্রেন পৌঁছতে অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।