২০১২ সালের অন্যতম হাইভোল্টেজ মামলা ছিল শিনা বোরা হত্যা মামলা। প্রাক্তন মিডিয়া এক্সিকিউটিভ ইন্দ্রাণী মুখার্জী তাঁর মেয়ে শিনা বোরা হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন। এরপর দীর্ঘ আইনি পর্ব চলে। শেষমেশ ১৮ মে ইন্দ্রাণীকে এই মামলায় জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, শিনা বোরা হত্যা মামলায় ২০১৫ সালের অগাস্ট থেকে মুম্বইয়ের বাইকুলা জেলে বন্দি ইন্দ্রাণী মুখার্জি। এরপর ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আর সেখানেই আবেদন নাকচ হয়। তারপর ইন্দ্রাণী মুখার্জির আইনজীবী এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেন। সেখানেই এই প্রাক্তন মিডিয়া এক্সিকিউটিভের জামিন মঞ্জুর হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার এল নাগশ্বর রাওয়ের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করে। গত ছয় বছর ধরে শিনা বোরা হত্যা মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন ইন্দ্রাণী। তাঁর এই ছয় বছরের গতিবিধির দিকে নজর রেখে আদালত তাঁকে নিয়ে এই রায় দিয়েছে ১৮ মে। এছাড়াও২৩৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে মাত্র ৬৮ জনের জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার ঘটনাকেও এই বিষয়টির মধ্যে বিবেচনা করা হয়েছে।
এদিকে ইন্দ্রাণীর এই জামিনের মামলায় বিরোধিতা করেছে সিবিআই। মূলত মুম্বইয়ের শিনা বোরা হত্যা মামলায় ইন্দ্রাণী মুখার্জীর জামিনের তদন্তে রয়েছে সিবিআই। তাদের দাবি খুব শিগগিরিই মামলার উপসংহারে পৌঁছবে তারা। সেক্ষেত্রে জামিন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী পিটার মুখার্জি এই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। নামী মিডিয়া এক্সিকিউটিভ হিসাবে পরিচিত পিটারের মুক্তির পর এবার ইন্দ্রাণীর এই মামলায় মুক্তি হল জামিনে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে শিনার মৃত্যু হয়। যে শিনা ইন্দ্রাণীর আগের পক্ষের বিবাহের সন্তান। মেয়ে শিনাকে হত্যার দায়ে ইন্দ্রাণী ও পিটার মুখার্জির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। মুম্বই পুলিশ ২০১৫ সালে মামলা সিবিআইকে হস্তান্তরিত করে।