শিনা বোরা হত্যা মামলায় যে হাড় উদ্ধার করেছিল পুলিশ, সেটার খোঁজ মিলছে না। মুম্বইয়ের আদালতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মুম্বইয়ের বাইকুল্লা এলাকার সরকারি জেজে হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের আদালতে সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রের রায়গড় থেকে যে হাড় এবং দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলির খোঁজ মিলছে না। যে হাড়গোড় আদতে শিনার বলে দাবি করা হয়েছিল। ২০১২ সালে পেন পুলিশের তরফে জেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তার জেরে শিনার হত্যা মামলার অগ্রগতি ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আইনি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না, দাবি সিবিআইয়ের
যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, ওই হাড়গোড়ের খোঁজ পাওয়া না গেলেও আইনি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না। মামলা প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে না বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, রায়গড় থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের পরীক্ষা চালিয়ে যাঁরা ডিএনএ রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন, ইতিমধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে তাঁদের বয়ান। আদালতে প্রমাণিতও হয়ে গিয়েছে যে ওই হাড়গোড় আদতে শিনার। তাই হাড়গোড়ের সন্ধান না পাওয়া গেলেও মামলার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
রায়গড় থেকে হাড়গোড় উদ্ধার
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল শিনাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, রায়গড় জেলার পেন এলাকার জঙ্গলে তাঁর দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেছেন যে শিনাকে খুনের পর তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়রা।
পরদিন হাড়, চামড়া এবং আংশিক দগ্ধ দেহাংশ উদ্ধার করে জেজে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল পেন পুলিশ। যে হাড়, চামড়া এবং আংশিক দগ্ধ দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেগুলি মানুষের কিনা জানতে চেয়েছিল পুলিশ। অ্যানাটমি বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর জেবা খান পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে সেগুলি মানুষেরই।
শিনা বোরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের দাবি
সিবিআইয়ের দাবি, শিনাকে খুন করেছিলেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী। তিনি যখন জানতে পেরেছিলেন যে তাঁর প্রাক্তন স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেল রাহুলের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক আছে, তখন মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে সেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে এসেছিল তিন বছর পরে। অপর একটি মামলায় চালককে গ্রেফতারির পরই শিনার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সামনে আসে। আপাতত জামিনে মুক্ত আছেন ইন্দ্রাণীরা।