ফের একবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর তখতে শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল ভোট। সেই ভোট পরবর্তী নানান রাজনৈতিক ঘটনা পরম্পরা পেরিয়ে শাহবাজ শরিফ দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন। উল্লেখ্য, ভোটে তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের তরফে শাহবাজের দাদা নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হলেও, শেষমেশ রাজনৈতিক ঘটনাবলী শাহবাজকেই তখতে বসায়।
এর আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে পিএমএলএন ও পিপিপির যৌথ জোটের প্রার্থী হিসাবে শাহবাজ তাঁর প্রার্থীপদ পেশ করেন। তিনি ছাড়া ইমরান খানের তেহরিক এ ইনসাফ পার্টির সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদুল কাউন্সিল থেকে প্রার্থী পদের জন্য মনোনয়ন পেশ করেন ওমর আয়ুব। তবে পাকিস্তানের সংসদে ২০১ টি ভোটে জিতে যান শাহবাজ। যদিও তাঁকে ঘিরে প্রবল ক্ষোভ বিক্ষোভ পাকিস্তানের সংসদে দেখা যেতে থাকে।
শাহবাজ শরিফের পরিচিতি একনজরে
পাকিস্তানে ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন শাহবাজ শরিফ। সেদেশে ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অভ্যুত্থানের পরম্পরার মাঝে শাহবাজ সেদেশে রাজনৈতিক স্থিরতা আনতে পারেন কিনা, সেদিকে তাকিয়ে দুনিয়া। এদিকে, ইমরান পরবর্তী জমানায় পাকিস্তান শাহবাজের আমলে দেখেছে নিদারুণ আর্থিক সংকট।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে শাহবাজের পরিবার পাকিস্তানের অন্যতম রাজনৈতিক পরিবার। পিএলএমএনএর নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজ। এপর্যন্ত তাঁর ৫ বার বিয়ে হয়েছে। ডিভোর্সের ঘটনা ৩ টি।
পাকিস্তানের ভোট থেকে সরকার গড়া পর্যন্ত অধ্যায়:-
পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট সম্পন্ন হয়েছে। ২৬৫ আসনের পাকিস্তানের ভোটে ম্যাজিক ফিগার ছিল ১৩৩। পাকিস্তানের সংসদে ৩৩৬ টি আসনের মধ্যে ১৬৯ টি ভোট সঙ্গে নিয়ে সংসদের নেতা হওয়ার নিয়ম রয়েছে। এদিকে, ৩৩৬ সদস্যের পাক সংসদে ৯০ টি আসন ইমরান খানের পিটিঈই সমর্থিত নির্দলরা জিতে যায়। সেই জায়গা থেকে ইমরান শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এদিকে, খেলা ঘুরে যায়, যখন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পিপিপি পার্টি একজোট হয়ে সরকার গড়ার রাস্তা বেছে নেয়। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ-কে বাইরে থেকে সমর্থনের বার্তা দেয় বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনের পর এবার পাকিস্তানে ভোট হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য।