ফের একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এদিকে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির জন্যেও ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিলেন শেহবাজ। যা শুনে গদগদ হয়ে যান মার্কিম প্রেসিডেন্ট। এদিকে ট্রাম্পের সামনেই পরমাণু হামলার ইঙ্গিত দিয়ে বড় মন্তব্য করেন শরিফ।
গাজার শান্তি সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেহবাজ বলেন, 'এই ভদ্রলোক (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যদি না থাকতেন... ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশই পরমাণু শক্তিধর... কে জানে সেই কাহিনী বলার জন্য তাহলে কে বেঁচে থাকত।' শেহবাজর এই কথা শুনে ট্রাম্প বলেন, 'এটা বেশ সুন্দর ছিল। আমি এটা (প্রশংসা) আশা করিনি।' এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের একবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য শেহবাজ মনোনীত করায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের কমিউনিকেশন পরমর্শদাতা মার্গো মার্টিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শরিফের বক্তব্য পোস্ট করেন। এদিকে ভারত-পাক শান্তি নিয়ে সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ট্রাম্প বলেন, 'আমি আশা করি এরপর ভারত এবং পাকিস্তান সুন্দর ভাবে একসঙ্গে থাকবে।' এই কথা বলেই পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দিকে তাকান ট্রাম্প। তখন শরিফ ঝুঁকে পড়ে হাসতে হাসতে ট্রাম্পকে কিছু বলছিলেন। যা দেখে হেসে ফেলেন ট্রাম্প।
এদিকে পাকিস্তান বা ট্রাম্প যে যাই বলুক, সত্যিটা হল, মার খেয়ে গত ১০ মে পাকিস্তান নিজে ভারতের কাছে এসেছিল কাতর আর্তি নিয়ে। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। এরপরই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে 'অপারেশন সিঁদুর' শুরু করে ভারত। ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসবাদীকে খতম করে ভারত। এর পরের দিনগুলিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাকিস্তান ভারতীয় বিমানঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল। পালটা জবাবে পাকিস্তানের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটি অকেজো করে দিয়েছিল ভারত। রাওয়ালপিন্ডি, করাচি, লহোরের মতো শহরে আছড়ে পড়েছিল ভারতীয় মিসাইল। এই আবহে পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির জন্য কাতর আর্তি জানিয়েছিল ভারতের কাছে। সেই আর্তি মেনে অপারেশন সিঁদুর স্থগিত করতে সহমত হয়েছিল ভারত।