আনুষ্ঠানিক ভাবে শেহবাজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে বেছে নিল পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি। ইমরান খান গদিচ্যুত হতেই যে শেহবাজ শরিফই পাক প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। শুধু আনুষ্ঠানিকতার দেরি ছিল। রবিবারই সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলি।
পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শেহবাজ। উল্লেখ্য, শেহবাজ তিন দফায় ১২ বছর ধরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। পঞ্জাবের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রথমে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ এবং পবর্তীতে টানা দুই দফায় ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ। ২০১৮ সাল থেকে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শেহবাজ বিরোধী দলনেতার পদ সামলেছেন। এহেন শেহবাজই এবার পাক প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
রবিবার ভোর রাতে সংসদে দাঁড়িয়ে শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ‘আমরা নিরপরাধ মানুষকে জেলে পাঠাব না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। কিন্তু আইন আইনের পথে হাঁটবে এবং ন্যায়বিচার হবে। পাকিস্তানে নতুন ভোর আসতে চলেছে।’ শেহবাজ আরও বলেন, ‘কোটি কোটি পাকিস্তানিদের প্রার্থনা সর্বশক্তিমান শুনেছেন। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের সকল সদস্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা থেকে অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, এই সব কিছুতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন শেহবাজ। এই আবহে তাঁকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।