চিরাচরিত সম্পর্ক ভালো নয়। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার সেই দেশকেই আমন্ত্রণ জানাল প্রতিপক্ষ। হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে। যা নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানকে এবার বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন শেখ হাসিনা। আর তাতেই তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। কিছুদিন আগেই শেখ হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইমরান খানও।
এই আমন্ত্রণ ইমরান খান রক্ষা করে কিনা সেদিকে তাকিয়ে সবাই। বিশেষ করে ভারত এই বিষয়টির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান বরাবরই ভারতের ক্ষতি করে এসেছে। আর ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেখানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টিকে বিশেষ নজরে দেখছে ভারত। তবে এই সফরের কোনও তারিখ ঘোষণা করেননি শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত করার বিয়য়ে আশাবাদী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকেই বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। তবে ২০২০ সাল থেকে ইসলামাবাদ–ঢাকা কাছাকাছি আসতে শুরু করে। আর তারপর এই আমন্ত্রণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ–পাকিস্তান কাছাকাছি আসলে ভারতের কোনও ক্ষতি হতে পারে কিনা তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।
এখানে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। ভারত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ ভারত সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ চিন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেছে। এবার পাকিস্তান বাংলাদেশ সফর করলে সেখানে নানা চুক্তি হতে পারে। তাতে জোটবদ্ধ হয়ে চিন–পাকিস্তান ভারতের পিছনে লাগতে পারে। এমনকী বাংলাদেশের পথকেই করিডর করতে পারে। এটাই ভাবাচ্ছে ভারতকে।