সদ্য শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। অপরদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি আবার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ভারত সরকার। আবার অপর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই সবের মাঝেই ভারতকে নিশানা করলেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক মিঞাঁ গোলাম পরওয়ার। শুক্রবার বাংলাদেশের গাজিপুর জেলায় এক জনসমাবেশে জামাত নেতা বলেন, 'খুনের মাস্টারমাইন্ডকে ভারত আশ্রয় দিয়ে জেনেভা কনভেনশন এবং সব আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে। তাহলে আমরা এটা বলতে বাধ্য, এত বছরের জুলুম, নির্যাতন, লুটপাট, খুনের পিছনে তাদেরও হাত ছিল।' (আরও পড়ুন: ২০০৫-এ যখন আমেরিকা আমার ভিসার আবেদন নাকচ করে... পডকাস্টে অকপট মোদী)
আরও পড়ুন: যত দোষ বাইডেনের... ট্রাম্প গদিতে বসার আগেই বিস্ফোরক মেটা প্রধান জুকারবার্গের
তিনি আরও বলেন, 'জুলাই বিপ্লবে ২ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে, ৪০ হাজার আহত হয়েছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা তো এই বিজয় দেখে যেতে পারলেন না। তাঁদের রক্তের এই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। তারা যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য রক্ত দিলেন, সেই স্বাধীন ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র আমাদের গড়তে হবে। আওয়ামি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা রাজপথে ছিলাম, রক্ত দিয়েছি, তাঁদের কাছে আমার মিনতি, জুলাই অভ্যুত্থানের যে চেতনা আছে, সেই ঐক্যের আলোকে জাতীয় পরিবেশ তৈরি করতে হবে। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যাই।'
আরও পড়ুন: ভিনদেশে অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে এবার, নয়া উদ্যোগ ইন্টারপোলের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ভাসমান অবস্থায় মিলল আরও এক খনি শ্রমিকের দেহ, অসমের দুর্ঘটনায় ৬ দিন পরও নিখোঁজ ৭)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পালাবদলের নেপথ্যে আমেরিকা ছিল বলে মনে করে ভারত? জবাব দিলেন মার্কিন NSA
অপরদিকে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার।