গতকালই বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। আর এরই মাঝে এবার রিপোর্টে দাবি করা হল, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ১৪ বছর আগে কাঁটাতারে ঝুলে মৃত্যু বাংলাদেশি নাবালিকার, মা বললেন - 'ভারতকে যেন…')
আরও পড়ুন: 'একটু জ্বর হলেই...', হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শঙ্কার মাঝে এবার বিস্ফোরক মমতা
এদিকে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, 'হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে ভারত সরকার জানে এবং সে জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।' এদিকে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজাদ বলেন, 'আইনগতভাবে একাধিক পাসপোর্ট থাকার বিধান নেই। পাসপোর্ট বাতিল হলে কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে।'
ভারত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে না বলে 'ধরে নিয়েছে' বাংলাদেশ। এই আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইস্যুতে কার্যত 'হার মেনে' নিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। তবে তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে চাইছে। এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের প্রত্যর্পণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফর্মালিটি থাকে। তবে বাংলাদেশ সরকার নাকি সেই সব না করেই বলে যাচ্ছে - 'হাসিনাকে দিল্লি ফেরত পাঠাবে না'। এই সবের মাঝে ভারত নাকি বাংলাদেশের 'নোট ভার্বাল'-এর জবাব নাও দিতে পারে।