বিগত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বারংবার। এই আবহে মুখ খুললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে হাসিনা বললেন যে তাঁর সরকার দৃঢ়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমর্থন করে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার যেকোনও প্রচেষ্টা অবিলম্বে মোকাবিলা করা হবে তাঁর দেশে।
ভারত সফরের আগে এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে হাসিনা অবশ্য দাবি করেন যে চরমপন্থা শুধুমাত্র তাঁর দেশে সীমাবদ্ধ নেই। তাঁর কথায়, ভারত সহ অনেক দেশই কট্টরপন্থা প্রত্যক্ষ করেছে সাম্প্রতিককালে। তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদের একটি কারণ হল সোশ্যাল মিডিয়া’। তাঁর বক্তব্য, ‘আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া খুব খারাপ হয়ে উঠেছে’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতদিন আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতার উপর গুরুত্ব দেব। আমি সবসময় সংখ্যালঘুদের বলি যে আপনারা আমাদের নাগরিক। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটলেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে নিই। তবে বিগতদিনে যেগুলো হয়েছে, তা খুবই অনাকাঙ্খিত। কিন্তু আপনি ভালো করেই জানেন এমনটা যে শুধু বাংলাদেশে হয়েছে এমন নয়। ভারতেও অনেক সময়ই সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়েছে।’
হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে উভয় দেশেরই উদারতা দেখানো উচিত। আপনি জানেন বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমাদের এখানে অনেক ধর্ম রয়েছে। এবং একেক ধর্মের মানুষের সঙ্গে অন্য ধর্মের মানুষের সম্প্রীতি রয়েছে এখানে। তাই দু-একটা ঘটনা ঘটলে তার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পদক্ষেপ করি... বিশেষ করে আমার দল... আমার দলের লোকজন খুবই সচেতন এবং আমার সরকারও। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’