তিস্তা প্রকল্প নিয়ে এর আগে চিনের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। আর সম্প্রতি ভারত সফরে এসে দিল্লির থেকেও এই প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব পান শেখ হাসিনা। এই আবহে কোন দেশের প্রস্তাবকে গ্রহণ করবে বাংলাদেশ? ঢাকা ফিরে গিয়েই এই নিয়ে মুখ খুললেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানান, দুই দেশের থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবকেই খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশের জন্যে যেই প্রস্তাব বেশি ভালো হবে, সরকার সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করবে। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা নিয়ে সামনে এল নয়া আপডেট, চিঠিতে করা হল বড় দাবি)
আরও পড়ুন: নেহেরু-ইন্দিরা জমানায় ডেপুটি স্পিকার ছিল কংগ্রেসেরই, পালটা তোপ BJP-র
এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, 'আমরা আমাদের দেশের উন্নয়নমূলক চাহিদার ভিত্তিতে আমাদের বন্ধুত্ব বজায় রাখি।' এদিকে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যখন আমরা একটি প্রস্তাব পাই, তখন আমরা সব বিষয়গুলিকে নিয়েই বিবেচনা করি। যেমন সেই প্রস্তাবটি আমাদের জন্য উপযুক্ততা কি না, আমাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতা আছে কি না, প্রকল্পের সমাপ্তির পরে আমরা তা থেকে যে পরিমাণ আয় করতে পারে, বা কীভাবে এটি আমাদের দেশের জনগণকে উপকৃত করবে।'
আরও পড়ুন: অস্বস্তিকর গরম, বর্ষা এলেও নেই বৃষ্টি! তবে এবার দক্ষিণবঙ্গে হবে ভারী বর্ষণ
উল্লেখ্য, ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের কাছেই সীমান্ত পারে চিন তিস্তার ওপরে একটি বাঁধ তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশে। ২০২০ সালেই নাকি সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঢাকাকে। তবে বাংলাদেশ নাকি সেই প্রস্তাবে এখনও সায় দেয়নি। এদিকে ভারতও এবার তিস্তা প্রকল্প নিয়ে প্রস্তাব দিল বাংলাদেশকে। এদিকে হাসিনার দিল্লি সফরের সময় নাকি তিস্তায় চিনের প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তার জবাবে নাকি হাসিনা ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রখা আশ্বাস দিয়েছেন। আর তিস্তা নদী সংরক্ষণের প্রকল্পে বাংলাদেশকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: বুধেও লক্ষ্মীর নজর, ৪ দিনে একবারও বাড়ল না দর, কলকাতায় ফের দাম কমল সোনার
নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের প্রকল্পে সহায়তার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাবে নয়াদিল্লি। এদিকে আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আবার চিনে যেতে পারেন। ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিস্তার প্রকল্প নিয়ে চিন যে চাপ তৈরির চেষ্টা করত, ভারতের ঘোষণার ফলে সেটা এবার সামলে নিতে পারবেন হাসিনা। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, চিনের কোনও সংস্থা যদি সেই নদীর সংরক্ষণের প্রকল্পের বরাত পায়, তাহলে নদীর গতিপ্রবাহ-সহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বেজিং। শুধু তাই নয়, ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন সামরিক ছাউনি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।