সম্প্রতি বাতিল হয়েছে তাঁর পাসপোর্ট। তবে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাতত ভারতেই থাকতে পারবেন। কারণ সম্প্রতি তাঁর ভারতে বসবাসের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে দিল্লির ওপর বেজায় চটেছে বিএনপি। এই নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন, 'ভারত যে ভাবে বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি বা একটি রাজনৈতিক দলকে রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ ভালো ভাবে নিচ্ছে না।' (আরও পড়ুন: চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭-১০ টাকা, খিদে মেটাতে ভারতের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয় নির্বাচন করাতে চান ইউনুস, BNP বলল - 'মানবা না... ষড়যন্ত্র হচ্ছে'
বিএনপি নেতার কথায়, 'ভারত কেন এক জন রাজনীতিকের জন্য এতটা উঠে পড়ে লেগেছে? নয়াদিল্লির সম্পর্ক কি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে না একটি রাজনৈতিক দল বা একজন ব্যক্তির সঙ্গে? এর ফলে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যার জেরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশে এই ঘটনার নানান ব্যাখ্যা তৈরি হচ্ছে। মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। যেই ব্যক্তি এত মানুষের মৃত্যুর কারণ, যিনি লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমস্ত প্রতিষ্ঠান নষ্ট করেছেন... তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এটা ভালো ভাবে নেওয়া যায় না।' (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে নয়া তথ্য সামনে, আছে সুখবর নাকি দুঃসংবাদ?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসতে গিয়ে BSF-এর জালে হিন্দু নাবালক
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড 'কিনতে চান' ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন বিদেশ সচিব বলে দিলেন…)
আরও পড়ুন: মণিপুরে কি সত্যিই স্টারলিঙ্কের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল? তদন্ত শুরু কেন্দ্রের
এদিকে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছিলেন, 'হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে ভারত সরকার জানে এবং সে জন্য ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।' এদিকে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আজাদ বলেন, 'আইনগতভাবে একাধিক পাসপোর্ট থাকার বিধান নেই। পাসপোর্ট বাতিল হলে কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে।' (আরও পড়ুন: পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় এবার US সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প, স্বস্তি কি পাবেন?)
অপরদিকে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার। এরই মাঝে ঢাকা ভারতের থেকে 'জবাবের' অপেক্ষায় বসে আছে নাকি।