রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তাই মায়ানমারে গিয়েছিল ভারত সরকারের প্রতিনিধিদল। এবার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে রাষ্ট্রসংঘকে দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রসংঘের ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে ভাষণে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের মতো দৃশ্যমান অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলি সমাধানে রাষ্ট্রসংঘকে আরও দৃঢ় ভূমিকা নিতে পারে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশ–ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলতি সপ্তাহেও যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময়ে সাত রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)। তাদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও ছিল। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিজিবি সূত্রে খবর। বাংলাদেশের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রোহিঙ্গাদের অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়তে থাকায় চিন্তিত শেখ হাসিনা প্রশাসন। তাই হাসিনার আবেদন, রাষ্ট্রসংঘ আরও দৃঢ় ভূমিকা নিক।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপুঞ্জের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে ৫০০ পাতার নথিপত্র জমা দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। আরও ৫,০০০ পাতার সহায়ক নথি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এক মানবাধিকার সংগঠন। নিয়ম অনুযায়ী, এর বিরুদ্ধে পালটা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে তিন মাস সময় পাবে মায়ানমার। গত বছরের নভেম্বরে আইসিজেতে মায়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা করে গাম্বিয়া।