খুব শীঘ্রই আফগানিস্তানে নয়া সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবান। তবে সরকার গঠনের আগেই তালিবান নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান বুঝতে লেগে পড়েছেন দুই শীর্ষ নেতা - শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই এবং আনাস হক্কানি। সাম্প্রতিককালে স্ট্যানিকজাই ভারতের সঙ্গে কথা বার্তা বলার প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। বিগত দিনে কাতারের দোহায় ভারতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন স্ট্যানিকজাই। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়েও ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্ট্যানিকজাইয়ের পাশাপাশি হক্কানি নেটওয়ার্কের ডেপুটি সিরাজউদ্দিন হক্কানির ভাই আনাস হক্কানিও দিল্লির সঙ্গে যোগ স্থাপনের চেষ্টায় রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারত আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয় এবং সংখ্যালঘুদের সেখান থেকে বের করার বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাছাড়া পাকিস্তান যাতে আফগান মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেই বিষয়েও তালিবানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ভারতের। তবে তালিবান স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে কোনও ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি নয়াদিল্লি। আপাতত আফগানিস্তান নিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। আফগানিস্তান নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্যে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে স্ট্যানিকজাই ভারতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপের বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ায় দিল্লি অতটাও অবাক নয়। তবে আনাস হক্কানির সক্রিয়তাতে নাকি ভারত বেশ চমকে গিয়েছে। কারণ পাকিস্তানের আইএসআই মতপুষ্ট হক্কানি গোষ্ঠী এখনও ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। সেই পরিবারের আনাস দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টি নিয়ে হতভম্ব।
২০০৮ সালে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরের বিস্ফোরণে যে হক্কানি নেটওয়ার্কের হাত রয়েছে একথা ভারতের পাশাপাশি দাবি করে এসেছএ মার্কিন এবং আফগান গোয়েন্দারাও। সেই হামলায় ৬০ জন মারা গিয়েছিলেন। তাছাড়া হক্কানিদের সঙ্গে লস্করের যোগাযোগের বিষয়টি প্রায় সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি ভারতের নিউজ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আনাস হক্কানি দাবি করেন যে হক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে তালিবানের কোনও মিল নেই। এদিকে ভারত বিগত ২০ বছর ধরে তালিবান বিরোধী সরাকরের সঙ্গে কাজ করে এসেছে। এই আবহে তালিবান-নয়াদিল্লি সম্পর্কের মোড় নিয়ে জল্পনা জারি।