মুম্বই থেকে কসাই এনে খুন। জুবের নামে সেই ভাড়া করা কসাইকে দিয়েই খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের এমপিকে। কিন্তু ওই এমপিকে কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গেল কে? এখানেই সামনে আসছে এক মহিলার কথা। তার নাম সিলেস্টি বা সিলেস্তি রহমান।
আখতারুজ্জামান নামে এক মার্কিন বাংলাদেশি নাগরিক এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। তার খোঁজেও তল্লাশি চলছে। সেই সঙ্গে আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মিলেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা বড় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছে কয়েকজন। তার মধ্য়ে জুবেরও রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
কিন্তু কোথায় গেল সিলেস্তি রহমান?
সূত্রের খবর, অপারেশন সফল করার পরে তিনি ১৫ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
কে এই সিলেস্তি?
সিলেস্তি রহমান আক্তারুজ্জামানের বান্ধবী। গত ১৩ মে এমপিকে ওই ফ্ল্যাটে ডেকে আনার ক্ষেত্রে এই মহিলাকেই টোপ হিসাবে আনা হয়েছিল। তবে খুনের সময় তিনি ছিলেন না। তবে লাশ সরানোর সময় তিনি ছিলেন বলেই খবর।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গি গ্রামে বিশাল এলাকার উপর আক্তারুজ্জামানের রিসর্ট রয়েছে। একেবারে বিলাসবহুল রিসর্ট। তিনি ছ মাস বিদেশে থাকতেন। দেশে থাকার সময় এই রিসর্টে আসত সুন্দরীরা।
সিলাস্তি রহমান। তাকেই সম্ভবত হানি ট্র্য়াপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ঢাকা পুলিশ এই মহিলাকে আটক করেছে। পুলিশ এই মহিলার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। এই সিলেস্তির সঙ্গে আখতারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাকেই ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আনারের খুনীদের ৫ কোটি টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সব মিলিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
এই ঘটনার মূল চক্রী আখতারুজ্জামান আপাতত আমেরিকায় গা ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউটাউনে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমকে। সেই খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। তার নাম জিহাদ হাওলাদার। ২৪ বছর বয়সি ওই যুবক আসলে বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। জেরায় আজিমকে খুনের কথা কার্যত স্বীকার করেছে সে।সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। খুনের আগে তাকে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ধৃত কসাইয়ের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটির খালে ডুবুরি নামিয়ে দেহাংশের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই অপারেশনে নামে জিহাদ। আরও সঙ্গীরাও ছিল। তারাও সহায়তা করেছিল বলে অভিযোগ। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর শরীরের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর ব্যাগে ভরে ফেলা হয় সেই হাড় মাংস।