বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনাকে খুন করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। দিল্লি থেকে কসাই, বাংলাদেশ থেকে নারী নিয়ে এসে গোটা অপারেশন চালানো হয়। এদিকে গোটা ঘটনায় শিলাস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম উঠে আসছে। তাকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশে। এই শিলাস্তিকে আটদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার আদালত।
তবে সূত্রের খবর, খুনের সময় কলকাতায় ছিলেন শিলাস্তি। কিন্তু তিনি সম্ভবত সেই সময় ওই ঘরে ছিলেন না। এদিকে শিলাস্তি নিজে দাবি করেছেন তিনি এই খুনের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
এই খুনের মূল চক্রী হল আখতারুজ্জামান শাহিন। তার সঙ্গে ওই সাংসদের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিল।
এদিকে আদালতের ওকালতনামাতে প্রাথমিকভাবে সই করতে চাইছিলেন না শিলাস্তি। পরে তিনি সই করেন। তিনি জানিয়ে দেন, আমি ওই ফ্ল্যাটে ছিলাম। এটা ঠিক। কিন্তু এর বাইরে আমি কিছু জানি না।
কিন্তু কে এই শিলাস্তি? তাকেই হানিট্র্যাপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, শিলাস্তির বয়স ২২ বছর। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ধুবুড়িয়া ইউনিয়নের পাইসানা গ্রামে। তার বাবা কাপড় ব্য়বসায়ী। শাহিনের বান্ধবী তিনি। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা এলাকায় থাকতেন তিনি। কয়েক বছর আগে একটি পার্টিতে শাহিনের সঙ্গে তার আলাপ হয়। মডেল হতে চেয়েছিলেন শিলাস্তি। কিন্তু শাহিনের হাত ধরে তিনি হারিয়ে গেলেন শিলাস্তি। অন্ধকার জগতের চোরাবালিতে হারিয়ে গেলেন তিনি।
আদালত চত্বরে সংবাদমাধ্য়মের ক্য়ামেরা দেখেই মুখ লুকোনর চেষ্টা করেছিলেন শিলাস্তি। পরে তিনি কান্নাকাটি শুরু করে দেন। প্রশ্ন করেন, আমি কীভাবে আসামী হয়ে গেলাম? তিনি জানিয়ে দেন, আমি শুধু ওই ফ্ল্যাটে ছিলাম। আর কিছুই জানি না। বিদেশ থেকে যখন ফিরে আসতেন শাহিন তখন এই শিলাস্তিকেও দেখা যেত তার সঙ্গে।
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে শাহিনের বিলাসবহুল আবাসনে গিয়েছিলেন শিলাস্তি। সেই রাতেও পার্টিও হয়। এমপিকে খুন করার খুশিতে ওই পার্টি হয় বলে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সেই শিলাস্তিকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না। তবে পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।