কয়েকদিন আগেই মুম্বইতে গিয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরই এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে পাশে দাঁড়িয়ে ইউপিএ-র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতার এই মনোভাবের সঙ্গে য়ে শিবসেনা একমত না, তা মমতা মুম্বই ছাড়তেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শিবসেনার দলীয় মুখপত্রে মমতার প্রশংসা করেও দানানো হয় যে কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোটের কোনও ভবিষ্যত নেই। আর মঙ্গলবার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত নিজে পৌঁছে যন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাসভবনে। সেখানে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ছাড়া কোনও দ্বিতীয বা তৃতীয় বিরোধী বিকল্পের প্রশ্নই ওঠে না।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সাহায্যেই সরকার চালাচ্ছে শিবসেনা। প্রাথমিক ভাবে শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়তে কংগ্রেসের অনীহা থাকলেও বিজেপিকে ঠেকাতে শরদ পাওয়ারের মধ্যস্থতায় সেই জোট বাস্তব রূপ ধারন করে। তারপর থেকেই দেশে অন্যতম বড় বিজেপি মুখ হিসেবে উঠে আসেন উদ্ধব ঠাকরে এবং সঞ্জয় রাউত। এহেন সেনাকে যদি মমতা নিজের দিকে টানতে পারতেন তাহলে তাঁর স্বুবিধাই হত। তবে রাজনৈতিক সমীকরণের অঙ্ক কষে শিবসেনা বুঝেছে যে একা মমতায় বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। বরং তৃণমূলের হাত ধরে কংগ্রেসকে ফেলে একা হাঁটলে লাভবান হবে সেই বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে রাহুলের সঙ্গে সাক্রাতের পর সঞ্জয় বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে একটাই বিরোধী ফ্রন্ট থাকবে। আর কংগ্রেসকে ছাড়া সেই বিরোধী ফ্রন্ট সম্ভব নয়। দুই-তিন ফ্রন্টের কী লাভ? এতে বিজেপিই লাভবান হবে।’ পাশাপাশি কংগ্রেসে ও তৃণমূলের সম্পর্কের ফাটল মেরামতিতে শরদ পাওয়ার বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সঞ্জয় রাউত। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে সব বিরোধীদের একজোট করতে রাহুল গান্ধী অগ্রণী ভূমিকা নিতেও বলেন সঞ্জয় রাউত।