পুণের বছর ২৩-এর এক মহিলার আত্মহত্যার মামলায় তাঁর নামে অভিযোগ উঠছিল। সেই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় রাঠোর। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। তবে শিবসেনার তরফে সেই বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও মুখ খোলা হয়নি।
রবিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বাসভবন বর্ষার বাইরে সঞ্জয় বলেন, ‘তদন্ত হওয়ায় আমি ইস্তফা দিলাম। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। যে কায়দায় বিরোধীরা বলেছেন, তাঁরা (সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিধানসভা অধিবেশনের) কাজকর্ম হতে দেবেন না, সেই পরিস্থিতিতে আমি সরে গেলাম। আমি উপযুক্ত তদন্ত চাই এবং সত্যিটা সবার সামনে আসুক।’
বিষয়টির সঙ্গে অবহিত নেতারা জানিয়েছেন, তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধবকে ইস্তফাপত্র গ্রহণ না করার আর্জি জানিয়েছেন বন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী। বর্ষীয়ান শিবসেনা মন্ত্রী একনাখ শিন্ডেও উদ্ধবকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দিনকয়েক আগে পোহরাদেবী মন্দিরে যেভাবে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন সঞ্জয়, তাতে রীতিমতো বিরক্ত হয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব।
বিজেপির অভিযোগ, সঞ্জয়ের সঙ্গে আত্মঘাতী মহিলার সঙ্গে সঞ্জয়ের সম্পর্ক ছিল। যিনি ৮ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই মামলা সম্পর্কিত একাধিক অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অডিয়োয় যে ব্যক্তিদের গলা শোনা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন সঞ্জয় বলে দাবি করেছে বিজেপি। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবিও তোলা হয়। যিনি যাবতীয় দোষ অস্বীকার করেছেন।
সঞ্জয়ের ইস্তফার পর মহারাষ্ট্রের রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাতিল দাবি করেন, ওই তরুণীর মৃত্যু মামলায় এটা সবে ‘ছোটো সূচনা’। তাঁর কথায়, ‘নীতিগতভাবে অনেক আগেই (সঞ্জয়ের) ইস্তফাপত্র নেওয়া উচিত ছিল ঠাকরের। তবে আমরা খুশি যে মানুষের চাপের ফলে উনি মন্ত্রীর ইস্তফাপত্র নিতে বাধ্য হয়েছেন।’