সকাল সাতটায় সঞ্জয় রাউতের বাসভবনে হাজির হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রায় ন'ঘণ্টা তল্লাশির পর আর্থিক তছরুপ মামলায় শিবসেনা সাংসদকে আটক করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
'চাওল' সংস্কারে আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত একটি মামলায় রবিবার সকালে মুম্বইয়ে শিবসেনা সাংসদের বাসভবনে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। যে আর্থিক তছরুপ মামলায় তাঁকে দু'বার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু দু'বারই সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাঁকে ডাকা হয়েছিল। সংসদের বাদল অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার কারণ দর্শিয়ে সেই সমন এড়িয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। যে মামলায় তাঁর স্ত্রী এবং ‘সহযোগীদের’ নামও জড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ‘এই কথা এতদিন বলেননি কেন পার্থ?’ কড়া ভাষায় বিঁধলেন কুণাল ঘোষ
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ‘মৈত্রীতে’ অভিযান চালায় ইডি। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। সেই খবর চাউর হতেই ‘মৈত্রীর' সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা শিবিরের নেতা সঞ্জয়ের অনুগামীরা। বিকেল চারটে নাগাদ সঞ্জয়কে আটক করে ইডি। তারপর তাঁকে ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হয়। সেইসময় তাঁকে অনুগামীদের উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা যায়। হাত নাড়তে-নাড়তেই গাড়ির উপর উঠে পড়েন। দু'হাত তুলে হাত নাড়তে থাকেন। গলায় থাকা গেরুয়া উত্তরীয় খুলেও নাড়তে থাকেন শিবসেনা সাংসদ।
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: ‘এক পয়সাও চুরি করেননি’, প্রকাশ্যে ‘নির্লোভ’ অর্পিতার ‘সততা’
তারইমধ্যে আর্থিক তছরুপের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সঞ্জয়। তাঁর পালটা অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'প্রয়াত বালাসাহের ঠাকরের নামে দিব্যি দিয়ে বলছি যে আমি কোনওরকম দুর্নীতিতে জড়িত নই। আমি মরে যাব। কিন্তু শিবসেনা ছাড়ব না।'