শিবসেনার আসলে কার? এই প্রশ্ন করে নির্বাচন কমিশন উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে শিবিরকে ‘পরীক্ষা’ দিতে বলেছিল। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে নির্বাচন কমিশনকে সেই ‘পরীক্ষা’ স্থগিত রাখতে বলল। আজ প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানান, শিবসেনার এই অন্তর্দ্বন্দ্বের বিষয়টি বহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে ৮ অগস্টের মধ্যে দলে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহে নির্বাচন কমিশনকে তাদের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সোমবার নিজেকে শিবসেনার প্রধান নেতা বা 'মুখ্য নেতা' হিসেবে অভিষিক্ত করেন। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের নিয়ে দলের একটি নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার ঘোষণা করেন শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য শিন্ডের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহীতে শিবসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নিজের উত্তরসূরির নাম সুপারিশ করলেন প্রধান বিচারপতি রামানা, পরবর্তী CJI হবেন কে?
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্বের মামলার বিচার চলছে। তবে এরই মাঝে দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে ১২ জনই জাতীয় কার্যনির্বাহী ভেঙে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। লোকসভার অধ্যক্ষকে এই ১২ সাংসদ জানিয়েছেন যে তারা একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর। এদিকে উদ্ধব ঠাকরেকে দলের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হলেও এটা স্পষ্ট যে বিদ্রোহীরা তাঁকে নিছক এক ‘প্রতীক’ হিসাবে ব্যবহার করতে চান। শিন্ডে বর্তমানে দলের সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাচ্ছেন। দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। তবে দলের পদাধিকারীদের মধ্যে থেকে ১৮৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন হবে একনাথ শিন্ডের। তাহলেই তিনি দাবি জানাতে পারবেন যে শিবসেনা তাঁর। তবে উদ্ধব শিবিরের দাবি, বিধায়ক বহিষ্কারের মামলার নিষ্পত্তির পরই এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করা উচিত।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়া যাতে আপাতত স্থগিত রাখা হয়, এই আর্জি জানিয়ে গত ২৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল উদ্ধব গোষ্ঠী। শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই এই আবেদন করেছিলেন। এই গোটা মামলায় নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ করার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মতো আজকের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও। নির্বাচনের কমিশনের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল, ‘বিধানসভায় কী হচ্ছে তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও গোষ্ঠী যদি এই ধরনের কোনও দাবি রাখে তাহলে নির্বাচন কমিশন তা নি’