গতকাল উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে পারেন। তবে সেই বার্তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এই আবহে আজকে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেন যে বিদ্রোহী বিধায়করা যদি মুম্বইতে ফিরে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে মহাবিকাশ অঘাড়ি থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ভাবতে পারে দল। সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মারাঠা রাজনৈতিক মহলে। সঞ্জয় রাউত এদিন বলেন, '২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি বিধায়করা মুম্বই ফিরে আসেন, তাহলে মহাবিকাশ অঘাড়ি ছাড়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে।’ এদিন সঞ্জয় দাবি করেন যে শীর্ষ নেতৃ্ত্বের সঙ্গে ২২ জন বিধায়কের যোগাযোগ রয়েছে।
এদিন শিবসেনার তরফে কৈলাস পাতিল এবং নিতিন দেশমুখকে সংবাদমাধ্যমের সামনে পেশ করা হল। সাংবাদিক সম্মেলনে নিতিন ও কৈলাস দাবি করেন অনেক বিধায়ক ইন্ডে গোষ্ঠী থেকে ফিরতে চান। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়কদের ‘অপহরণ’ করা হয়েছে। অপরদিকে এদিন বিদ্রোহী বিধায়কদের তরফে উদ্ধব ছাকরের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখা হয়। তাতে অভিযোগ করা হয়, মহবিকাশ অঘাড়ি সরকার চলাকালীন শিবসেনার বিধায়কদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করত এনসিপি। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের অভিযোগ, উদ্ধবের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না বিধায়করা।
এদিকে বৃহস্পতিবার মোট তিনজন শিবসেনা বিধায়ক এসে যোগ দিলেন একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীতে। দীপক কেসারকর, সদা সর্বঙ্কর, মঙ্গেশ কুডালকার এবং সঞ্জয় রাঠোড় এদিন গুয়াহাটি এসে পৌঁছান। সূত্রের খবর, বর্তমানে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে ৩৮ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জন গুয়াহাটিতে রয়েছেন। অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে মাত্র ১৩ জন বিধায়ক আছেন। একজন বিধায়ক এখনও মনস্থির করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ৫৫ বিধায়কের দলে একনাথদের দলবিরোধী আইন এড়াতে ৩৭ জন বিধায়ক প্রয়োজন ছিল। সেই সংখ্যা অনায়াসে পার করতে পারে শিন্ডে গোষ্ঠী।