আরও সংকটে মহাবিকাশ অঘাড়ি সরকার। আজ সকাল সকাল শিবসেনার আরও তিন বিধায়ক গিয়ে উঠেছেন গুয়াহাটির ব়্যাডিসন ব্লু হোটেলে। এর জেরে উদ্ধব ঠাকরের সমর্থনে থাকা বিধায়কদের সংখ্যা আরও কমল। গতকালই বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষকে পাঠানো এক চিঠিতে একনাথ শিন্ডে ৩৪ জন বিধায়কের সই দেখিয়েছিলেন। অর্থাৎ, তখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে শিবসেনার ৩৪ বিধায়কের সমর্থন ছিল। এরপর রাতে আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক গুয়াহাটি পৌঁছান। আর আজ সকালে আরও তিনজন পৌঁছে যান গুয়াহাটি। এর জেরে বর্তমানে শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে ৪০-এরও বেশি বিধায়ক থাকার কথা। নির্দল মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা আরও বেশি।
১৯৯০-এর দশকে টিডিপি থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা এনটিআর-কে সরিয়ে দল নিজের করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইড়ু। সম্প্রতি রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিতে চিরাগ পাসওয়ানেরও একই হাল হয়। কতকটা সেই পথে হেঁটেই গতকাল একনাথ শিন্ডে শিবসেনার উপর কার্যত নিজের অধিকার দাবি করেন। এর আগে গতকাল শিবসেনার তরফে হুইপ জারি করে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সব বিধায়কদের মুম্বই আসতে বলা হয়েছিল। তবে একনাথ দাবি করেন, এই হুইপ অর্থহীন। পাশাপাশি বিদ্রোহী বিধায়কদের গোষ্ঠীর নয়া দলনেতা বেছে নেওয়া হয় শিন্ডেকেই। সেই সংক্রান্ত একটি চিঠি শিন্ডে গোষ্ঠীর তরফে বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষ এবং রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে ৩৪ জন বিধায়কের স্বাক্ষর ছিল। উল্লেখ্য, শিবসেনার মোট বিধায়ক সংখ্যা ৫৫। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হবে একনাথকে। গতকাল রাত এবং আজকে সকালের পর সেই সংখ্যা একনাথ পার করে গিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৬ জন বিধায়ক আছে। ২৮৭ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩৮ জন বিধায়ক। এদিকে শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে বর্তমানে শিবসেনার প্রায় ৪০ জন বিধায়ক আছেন। এই আবহে শিন্ডে গোষ্ঠী বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একনাথ শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। আড়াই বছর আগে এই একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অজিত পাওয়ারকেও। নয়া সরকার গঠন হলে শিন্ডে গোষ্ঠীকে ৯টি মন্ত্রক দিতে পারে বিজেপি।