মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক লড়াই দ্রুত শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। সোমবার বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁদের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছেন। ডেপুটি স্পিকার যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করতে পারেন, সেই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ একনাথরা। এর প্রেক্ষিতে কার্যক্রম ১১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছে আদালত। এর আগে সোমবার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে গুয়াহাটির একটি হোটেলে থাকা নয়জন বিদ্রোহী মন্ত্রীর পোর্টফোলিও ছিনিয়ে নেন।
প্রবীন শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে মহা বিকাশ অঘাড়ি (এমভিএ) সরকারের বিরুদ্ধে শিবসেনা বিধায়কদের বিদ্রোহ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে। একনাথ ৩৮-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন দাবি করেছেন। উভয় পক্ষই তাঁদের অবস্থানে অটল এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। এই আবহে গতকাল মন্ত্রিসভায় রদবদবল করেন উদ্ধব। একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে, বিদ্রোহী মন্ত্রীদের পোর্টফোলিও অন্যান্য মন্ত্রীদের কাছে দেওয়া হয়েছে।
এই আবহে শিবসেনার এখন চারজন মন্ত্রী আছেন মহারাষ্ট্রে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, অনিল পরব এবং সুভাষ দেশাই শিবসেনার চার ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আদিত্য বাদে বাকি তিনজনই আইন পরিষদের (এমএলসি) সদস্য। এদিকে একনাথ শিন্ডের অধীনে থাকা নগর উন্নয়ন এবং পাবলিক এন্টারপ্রাইজের পোর্টফোলিওটি গতকাল দেওয়া হয়েছে সিনিয়র শিবসেনা নেতা এবং রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী সুভাষ দেশাইকে।
এদিকে সোমবার মহারাষ্ট্রে ভারতীয় জনতা পার্টি এক জরুরি বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর বিজেপির সিনিয়র নেতা সুধীর মুনগান্টিওয়ার দাবি করেছেন যে তাঁর দল অসন্তুষ্ট শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের সাথে কথা বলেনি। তাঁর দাবি, বিজেপি শিন্ডের কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পায়নি এখনও। তিনি বলেছেন যে এখানে রাজ্য বিজেপির মূল কমিটির বৈঠকে 'পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ' করার একটি কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের আদেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মুনগান্টিওয়ার বিরোধীদলীয় নেতা দেবেন্দ্র ফড়নাবীসের বাসভবনে বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একনাথ শিন্ডের সাথে কথা বলিনি, বা আমরা তাঁর পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাবও পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা পরিস্থিতি নিরীক্ষণের জন্য একটি নজর রাখব এবং অপেক্ষা করব।’