শিবসেনা কার? এই প্রশ্ন করে উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডেকে চিঠি পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দুই নেতাকেই তাঁদের দাবি প্রমাণ করে নথি জমা দিতে বলেছিল কমিশন। সেই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া যাতে আপাতত স্থগিত রাখা হয়, এই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করল উদ্ধব গোষ্ঠী। শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই এই আবেদন করেছেন। এই গোটা মামলায় নির্বাচন কমিশনকেও একটি পক্ষ করার আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন উদ্ধব। সেই ভয় থেকেই এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তা
এর আগে নির্বাচন কমিশন শিবসেনার দুই পক্ষের নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নথি জমা দিতে বলে। আগামী ৮ অগস্টের দুপুর ১টার মধ্যে এই নথি জমা দিতে বলা হয়েছে একনাথ, উদ্ধবদের। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সোমবার নিজেকে শিবসেনার প্রধান নেতা বা 'মুখ্য নেতা' হিসেবে অভিষিক্ত করেন। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের নিয়ে দলের একটি নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার ঘোষণা করেন শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য শিন্ডের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহীতে শিবসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানানো হয়।
এদিকে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে বুধবার শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্বের মামলার বিচার চলছে। দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে ১২ জনই জাতীয় কার্যনির্বাহী ভেঙে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। লোকসভার অধ্যক্ষকে এই ১২ সাংসদ জানিয়েছেন যে তারা একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর। এদিকে উদ্ধব ঠাকরেকে দলের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হলেও এটা স্পষ্ট যে বিদ্রোহীরা তাঁকে নিছক এক ‘প্রতীক’ হিসাবে ব্যবহার করতে চান। শিন্ডে বর্তমানে দলের সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাচ্ছেন। দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। তবে দলের পদাধিকারীদের মধ্যে থেকে ১৮৮ জনের সমর্থন প্রয়োজন হবে একনাথ শিন্ডের।