মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ক্ষণে ক্ষণে খেলা হচ্ছে আবেগের তাস। উদ্ধব ঠাকরে ক্রমাগত সংবেদনশীল আবেদন করে চলেছেন। কখনও বিদ্রোহী, কখনও দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বার্তা দিচ্ছেন তিনি। এই আবহে এবার বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর নেতা যামিনী যাদব একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অন্য বিদ্রোহী নেতা যশবন্ত যাদবের স্ত্রী। ভিডিওতে যামিনী ব্যাখ্যা করেছেন কেন তিনি বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন। বিদ্রোহী নেতারা বর্তমানে গুয়াহাটিতে আছেন। সেই হোটল থেকেই যামিনী বলেছেন যে তিনি গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্যান্সারে ভুগছিলেন কিন্তু দলের নেতৃত্ব তাঁকে পাত্তা দেয়নি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর দলের কর্মীদের সম্বোধন করার পরেই যামিনীর আবেগময় আবেদন প্রকাশ্যে এল। এর আগে বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন উদ্ধব। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব বলেছিলেন যে তিনি সুস্থ না থাকায় তিনি তাঁর দলের কর্মীদের সাথে দেখা করতে পারেননি। সেই ‘যুক্তি’র পরই এল যামিনীর এই বার্তা। এর আগে বিদ্রোহী বিধায়করা একটি চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁদের সাথে দেখা করেননি। সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল যামিনীর ভিডিয়োতে। যামিনী যাদবের ভিডিোর আগে, একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনা নেতা সঞ্জয় শিরসাতের একটি চিঠি লিখেছিলেন উদ্ধবকে। তাতে বলা হয়েছে যে দলীয় বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারতেন না।
এই আবহে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সঙ্কট শুক্রবার আবেগের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এবং উভয় শিবির থেকেই ক্রমাগত ‘আবেগতাড়িত’ আবেদন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যামিনী যাদব তাঁর ভিডিয়োতে অভিযোগ করেন, ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকার তাঁকে দেখতে যেতেন, কিন্তু উদ্ধব সহ শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি। বাইকুল্লার বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক যামিনী যাদব বলেছেন, ‘আমি সর্বদা শিব সৈনিক থাকব এবং শিবসেনার সাথে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করব না। অনেক কারণে আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। বাইকুল্লা বিধানসভার ভোটাররা এটা বুঝতে পারবেন। যখন আমি জানতে পারলাম, আমার ক্যান্সার... তখন দলের কোনও সিনিয়র নেতা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।’ উল্লেখ্য, যামিনী যাদবের স্বামী যশবন্ত যাদব বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের কিছু অভিযোগ লঙ্ঘনের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজর পড়েছে যশবন্তের উপর।