নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পরও মুম্বইকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলে উল্লেখ করেছে শিবসেনা। গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান মুম্বইয়ের নির্ভয়া। এরপরই মুম্বইয়ের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তোপ দাগেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে মুম্বইয়ের বিষয়ে শিবসেনা নিজেদের মুখপত্র সামনায় লেখে, মুম্বইয়ে একজন মহিলার উপর পাশবিক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড সবাইকে হতবাক করেছে। কিন্তু এটি মহিলাদের জন্য বিশ্বের 'নিরাপদতম শহর' এবং কারও মনে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
এই ঘটনার সঙ্গে হাতরসের ঘটনার তুলনা টেনে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসনকে তোপ দাগা হয়। সামনায় লেখা হয়, যোগ সরকার প্রথমে বলেছিল যে হাথরসে কোনও ধর্ষণ হয়নি। পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়। সামনায় অভিযোগ করা হয়, হাথরস কাণ্ডে অভিযুক্তরা রাজ্য সরকারের সাহায্য পায়।
পুলিশ জানায়, নৃশংস এই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে। মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকার খাইরানিতে এই ঘটনা হয়েছিল। সেখানেই একটি অটোর মধ্যে ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় রক্তারক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শুক্রবার ভোরের দিকে পুলিশের কাছে ফোন আসে। পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। মুম্বইয়ের ঘাটকোপরের রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই নির্যাতিতাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষে শনিবার ওই মহিলার মৃত্যু হয়।